বাংলা নিউজ > ময়দান > IND vs BAN: ভরসা ছিল রক্ষণে, ধসের মুখে দেওয়াল তুলে অশ্বিন হদিশ দিলেন দলের হার না মানা মানসিকতার

IND vs BAN: ভরসা ছিল রক্ষণে, ধসের মুখে দেওয়াল তুলে অশ্বিন হদিশ দিলেন দলের হার না মানা মানসিকতার

ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে অশ্বিনের উচ্ছ্বাস। ছবি- এপি।

India vs Bangladesh 2nd Test: ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স মেলে ধরে ম্যাচের সেরার পুরস্কার জেতেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

মীরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে রবিচন্দ্রন অশ্বিন যখন ব্যাট হাতে মাঠে নামেন, ভারত ৭৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা। জয়ের জন্য তখনও টিম ইন্ডিয়ার দরকার ৭১ রান। হাতে ছিল মাত্র ৩টি উইকেট।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই শাকিব-মেহেদির স্পিন জুটি সাজঘরে ফিরিয়ে দেন জয়দেব উনাদকাট, ঋষভ পন্ত ও অক্ষর প্যাটেলকে। এমন দেওয়ালে পিঠ ঠেকা অবস্থা থেকে ব্যাট হাতে পালটা লড়াই চালান অশ্বিন। শেষমেশ শ্রেয়সের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ভারতকে জয়ের মঞ্চে বসিয়ে দেন রবিচন্দ্রন।

দলের সিনিয়র স্পিনার হিসেবে নিজের ভূমিকা যথাযথ পালন করেন অশ্বিন। সঙ্গে দরকারের সময় বরাবর ব্যাট হাতে দলকে নির্ভরতা দেন তিনি। এমনটা নয় যে, মীরপুর টেস্টে প্রথমবার ব্যাট করতে নেমে দলকে বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেন অশ্বিন। বরং এর আগেও একাধিকবার ব্যাটসম্যান হিসেবে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন রবিচন্দ্রন। এমনকি চট্টগ্রাম টেস্টেও অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরি করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। মীরপুরের দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিন ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬২ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন।

আরও পড়ুন:- IND vs BAN 2nd Test: শ্রেয়স-অশ্বিনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতের

সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন অশ্বিন। পুরস্কার বিরতণী মঞ্চে নিজের ও দলের খেলায় খুশি প্রকাশ করলেও অশ্বিন প্রশংসা করতে ভোলেননি বাংলাদেশের বোলারদের। তবে তিনি স্পষ্ট জানান যে, চাপের মুখেও নিজেদের রক্ষণের প্রতি বিশ্বাস অটুট ছিল তাঁদের।

রবিচন্দ্রন বলেন, ‘ম্যাচটা কষ্ট করে জিততে হল। বাংলাদেশ সত্যিই দারুণ খেলেছে। শ্রেয়স অসাধারণ ব্যাট করেছে। যদি ও সিরিজের সেরা না হয়, তবে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার ওর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া উচিত।'

আরও পড়ুন:- WTC Points Table: মীরপুরের কষ্টার্জিত হয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পথে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ টিম ইন্ডিয়ার

পরক্ষণেই অশ্বিন বলেন, ‘ওরা সত্যিই দারুণ বল করেছে। তবে নিজেদের রক্ষণের উপর ভরসা রাখা দরকার ছিল আমাদের। আমি শ্রেয়সকে সঙ্গ দিতে চেয়েছিলাম। পিচ খারাপ ছিল না। একটু স্লো ছিল বটে। তবে বলটাই তফাৎ গড়ে দেয়। একটা সময়ের পরে বল নরম হয়ে যাচ্ছিল। বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতেই হয়, ওরা আমাদের চাপে রেখেছিল। সব মিলিয়ে দারুণ পারফর্ম্যান্স দেখা গেল এই ম্যাচে।’

উল্লেখ্য, মীরপুর টেস্টে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে পরাজিত করে টিম ইন্ডিয়া। সেই সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শাকিব আল হাসানদের হোয়াইটওয়াশ করেন লোকেশ রাহুলরা।

বন্ধ করুন