জো রুটের অপরাজিত ১৮০ রানের সুবাদে তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ড ৩৯১ রানে অল আউট হয়ে যায়। বল হাতে দুরন্ত পারফর্ম করে চার উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। পাটা উইকেটে নিয়ন্ত্রণ ও পরিকল্পনামাফিক এক জায়গায় বল করেই সাফল্য মিলেছে বলে মনে করছেন সিরাজ।
দিনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় ফাস্ট বোলার জানান, ‘রঞ্জি ট্রফি হোক বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আমি কেরিয়ারের শুরু থেকে সবসময় নির্দিষ্ট ঠিকানায় বারবার বল রেখে ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্যেই থাকি। ইংল্যান্ডে আসলে অনেক ফাস্ট বোলারই অনেক কিছু পরিকল্পনা করে। তবে দলগতভাবেও আমরা গুড লেংথে নিয়মিত বল রাখার চেষ্টা করছিলাম। এতেই সাফল্য আসে। বেশি কিছু চেষ্টা করতে গেলে লাভের বদলে ক্ষতিই বেশি হয়।’
জনি বেয়ারস্টোর উইকেট নেওয়ার পরে সিরাজকে মুখে আঙুল দিয়ে সেলিব্রেট করতে দেখা যায়। কারুরই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে কাউকে উদ্দেশ্য করেই তাঁর এহেন সেলিব্রেশন। এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান তাঁর ‘হেটার্স’দের বলের মাধ্যমেই তিনি জবাব দিতে পছন্দ করেন এবং তাদের উদ্দেশ্যেই তিনি ওই ভঙ্গিমায় সেলিব্রেট করেন।
তবে লর্ডসের ঢালের জন্য অনেক বোলারদেরই প্রথমবার মানিয়ে নিতে অসুবিধা হয়। সিরাজের ক্ষেত্রে তা বিন্দুমাত্র চোখে পড়েনি। প্রথমবার ‘ক্রিকেটের মক্কা’য় খেললেও তাঁকে মাঠ ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে খুব বেশি কসরত করতে হয়নি বলেই জানান সিরাজ। ‘আমি বিরাট ভাইকে (কোহলি) বলছিলাম যে ঢালের জন্য স্বাভাবিকভাবেই আমার বল পড়ে ভিতরের দিকে (ডান হাতি ব্যাটসম্যানদের) আসছিল। তাই সেই প্রচেষ্টাতেই ছিলাম আমি এবং তাতেই সাফল্য মেলে।’ দাবি ২৭ বছর বয়সী ভারতীয় তারকার।
ভারতীয় কিংবদন্তি ভিভিএস লক্ষ্মণ চার ফাস্ট বোলার নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তবে দলে পাঁচ জন বোলার (রবীন্দ্র জাদেজা একমাত্র স্পিনার) থাকায় সুবিধাই হয়েছে বলে দাবি করেন সিরাজ। ইংল্যান্ডকে অল আউট করার পর চতুর্থ দিনে দ্রুত যত বেশি সম্ভব রান করে পুনরায় বোলারদের ম্যাচ জেতানোর জন্য প্রয়োজনীয় সময়টুকু দেওয়ার উদ্দেশ্যেই মাঠে নামবে ভারতীয় দল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।