শুভব্রত মুখার্জি
আইপিএলে কেকেআরের হয়ে পরপর কয়েকটা মরশুমে বেশ ভালো পারফরম্যান্স করেছেন তরুণ পেসার প্রসিধ কৃষ্ণা। ভারতীয়-এ দল এবং অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বল হাতে পরপর ভালো পারফরম্যান্স করেছেন কর্নাটকের এই ডানহাতি পেসার। দীর্ঘকায় এই পেসার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের দলের স্কোয়াডে জায়গা পেয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে সেই উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করে ফেলেন তিনি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রথম একাদশে সুযোগ পেলে তাঁর সেরাটা উজাড় করে দেবেন।
তবে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই যে প্রথম একাদশে তাঁর জায়গা হবে, তা হয়ত স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি বা তাঁর অনুরাগীরা।
ভারত প্রথমে ব্যাট করে এই ম্যাচে ৩১৭ রানের এক বিশাল স্কোর করে। ৩১৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসের দুরন্ত সূচনা করেন বেয়ারস্টো-রয় জুটি। বিনা উইকেটে স্কোর বোর্ডে ১৩৫ রান তুলে ফেলে ব্রিটিশরা। যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ হয়ত অনায়াসে জিতে যাবে স্টোকসরা, তখনই অসাধারণ কামব্যাক ঘটায় ভারত। মূলত প্রসিধ কৃষ্ণা, ভুবনেশ্বর কুমার এবং শার্দুল ঠাকুর বল হাতে ভারতকে ম্যাচে ফেরান। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জেসন রয়কে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরকে প্রথম আঘাত হানেন প্রসিধ। এরপর স্টোকস এবং বিলিংসের উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন তিনি। অবশেষে টম কারানের উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের জয় সুনিশ্চিত করেন তিনি।
এই ম্যাচে ৮.১ ওভার বল করে ১টি মেডেন-সহ ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে অভিষেকেই নজির স্থাপন করলেন তিনি। বল হাতে একদিনের ক্রিকেটে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে অভিষেক ম্যাচে এর কেউ ৪টি উইকেট পাননি। এই ঘটনা ভারতীয় ক্রিকেটে আর একবার ঘটেছে। তা ঘটেছে মহিলা ক্রিকেটে। উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালে ভারতের মহিলা দলের হয়ে অভিষেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পূনির্মা চৌধুরী ৪ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছিলেন।
সুতরাং, টিম ইন্ডিয়ার হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ ম্যাচে এটিই কোনও বোলারের সেরা পারফর্ম্যান্স। প্রসিধ এক্ষেত্রে নোয়েল ডেভিডের রেকর্ড ভেঙে দেন। ডেভিড ১৯৯৭ সালে ত্রিনিদাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। সেটিই ছিল এতদিন রেকর্ড।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।