লর্ডসে ভারত এবং ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের মধ্যে লড়াই চলেছিল। হেডিংলেতে তৃতীয় টেস্টে টসের আগেই মাঠের বাইরে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়লেন সুনীল গাভাসকর এবং নাসের হুসেন। তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেল টুইটারে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে ডেইলি মেলে বিরাট কোহলিদের একটি প্রতিবেদন লিখেছিলেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসের। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, অতীতে (পুরনো প্রজন্ম) ভারতীয় দল যেমন আগ্রাসনের মুখে দমে যেত, বিরাটের দলের ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। তাই পুরনো প্রজন্মের মতো বর্তমান ভারতীয় দলকে ভয় দেখানো যায় না। সেই পুরনো প্রজন্মের দল বলতে কোন ভারতীয় দলকে বলেছেন নাসের, তা জানতে চান গাভাসকর। তিনি বলেন, 'তুমি বলেছে যে পুরনো প্রজন্মের মতো বর্তমান ভারতীয় দলকে ভয় দেখানো যেত না। (আমি নিজে) পুরনো প্রজন্মের খেলোয়াড় হয়ে বলতে চাই যে কোন প্রজন্মের কথা বলা হয়েছে, সে বিষয়ে কি আমাদের জানাতে পারবে?'
প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের প্রশ্নের জবাবে নাসের বলেন, ‘আমার শুধু মনে হয় যে আগ্রাসনের মুখে অতীতে ভারতীয় দল না না বলত। কিন্তু কোহলি যে কাজটা করেছে, তা হল দ্বিগুণ আগ্রাসনের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে শিখিয়েছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলেও সেই বিষয়টা কিছুটা দেখেছি। ও শুরু করেছিল এবং সেটা ধারাটা অব্যাহত রেখেছে বিরাট। এমনকী যখন বিরাট ছিল না, অজিঙ্কাও (রাহানে) অস্ট্রেলিয়ার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমার মনে হয় না যে কেউ এই ভারতীয় দলকে খুঁচিয়ে দিতে চাইবে।'
নাসেরের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অতীতে লাল বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সের খতিয়ান তুলে ধরেন। গাভাসকর বলেন, ‘তুমি যদি বল যে পুরনো প্রজন্মকে ভয় পেতে হত, তখন জানিয়ে দিতে চাই যে আমি এরকম মনে করি না। আমাদের প্রজন্ম ভয় পেয়ে যেত বলে যদি বলা হয়, তাহলে আমি অত্যন্ত হতাশ হব। তুমি যদি রেকর্ড দেখ, তাহলে আমরা ১৯৭১ সালে জিতেছিলাম। ওটা আমার প্রথম ইংল্যান্ড সফর ছিল। ১৯৭৪ সালে আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ছিল। সেজন্য আমরা ৩-০ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলাম। ১৯৭৯ সালে আমার ১-০ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলাম। আমরা যদি ওভালে ৪৩৮ রান তাড়া করে নিতাম, তাহলে ওটা ১-১ হত। ১৯৮৬ সালে আবারও আমরা ১-০ ব্যবধানে হেরেছিলাম। ১৯৮৬ সালে আমরা ২-০ ব্যবধানে জিতেছিলাম। ওটা ৩-০ হতে পারত। আমার মনে হয় না যে আমাদের প্রজন্ম ভয় পেয়ে যেত। আমার মতে, আগ্রাসন মোটেও এমন বিষয় যে সবসময় প্রতিপক্ষের মুখের উপর বলতে হবে। তুমি প্যাশন দেখাতে পার। প্রতিটি উইকেটের পতনের পর না চেঁচিয়েও নিজের অঙ্গীকার দেখাতে হবে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।