ঘরের মাঠে কি দেশীয় আম্পায়ারকে ম্যাচের দায়িত্ব দেওয়া উচিত? চেন্নাইয়ে ভারত এবং ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের মধ্যে আবারও সেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যদিও ক্রিকেট মহলের একাংশ আবার সেই বিষয়টি সেভাবে দেখতে রাজি নয়। সেই বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পক্ষপাতিত্বের কোনও প্রশ্ন নেই। এটা নিছকই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার অভাব। তার জেরে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দু'দিনেই কমপক্ষে তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।
এমনিতে অনফিল্ড আম্পায়ার বীরেন্দর শর্মা এই প্রথম টেস্ট ম্যাচে পরিচালনা করছেন। প্রথম টেস্টে তিনি তৃতীয় আম্পায়ার ছিলেন। আর এই টেস্টে যিনি তৃতীয় আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বে আছেন অনিল চৌধুরী। যাঁর টেস্টে অভিষেক হয়েছিল সপ্তাহখানেক আগে। দু'জনেই আইসিসি আম্পায়ার্স প্যানেলে আছেন। খেলিয়েছেন সাদা বলের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কিন্তু সেখানেও বেশি অভিজ্ঞতা নেই। অনিল সাকুল্যে ২০ টি একদিনের ম্যাচ এবং ২৮ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করছেন। বীরেন্দরের অভিজ্ঞতা তো আরও কম। দুটি একদিনের ম্যাচ-সহ মাত্র তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। অপর আম্পায়ার নীতিন মেননেরও অভিজ্ঞতা কম। তিনি অবশ্য আইসিসির এলিট প্যানেলে আছেন।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, আইসিসির এলিট প্যানেলে নেই বীরেন্দর এবং অনিল। তা থেকেই স্পষ্ট যে তাঁদের দক্ষতার অভাব আছে। দক্ষতার অভাবের কারণে ম্যাচ পরিচালনার বেশি ভারও পড়েনি। দুইয়ের সংমিশ্রণে বিতর্কিত ('ভুল') সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন আম্পায়াররা। তাঁদের কাজটা আরও কঠিন করে তুলেছে টার্নিং পিচ।
তাহলে প্রশ্ন উঠছে, দক্ষতার অভাব জেনেও কেন সেই দেশীয় আম্পায়ারদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে? ক্রিকেট মহলের বক্তব্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সেই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে আইসিসি। এই অভাবনীয় পরিস্থিতিতে কিছু করার নেই। সেই বিষয়টির সঙ্গে পক্ষপাতিত্বের কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ আম্পায়াররাও জানেন, তাঁদের উপর প্রযুক্তির নজর আছে। ফলে পক্ষপাতিত্ব করলে আখেরে নিজের কেরিয়ারের উপর কালো দাগ পড়ে যাবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।