২০২২ এশিয়া কাপে ভারত ৪০ রানে হংকং-কে হারিয়ে সুপার ফোরে পৌঁছে গিয়েছে। তবে হংকং হারলেও, তারা কিন্তু বেশ ভালো লড়াই করেছে। ভারতীয় দলকে চ্যালেঞ্জের মুখে বারবার ফেলে দিয়েছে। ম্য়াচের শেষে অবশ্য হংকং অধিনায়ক নিজাকাত খান দাবি করেছেন, সূর্যকুমার নামার পরেই তাদের সব হিসেব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে।
ভারতের কাছে ম্যাচ হেরে হংকং অধিনায়ক দাবি করেছেন, ‘আমি মনে করি, আমরা ভালো বোলিং শুরু করেছিলাম। ১৩তম ওভার পর্যন্ত ভালো করছিলাম। ফিল্ডিংও ভালো ছিল। কিন্তু তার পরে আমাদের পা হড়কে গিয়েছে। বিশেষ করে ডেথ ওভার বোলিংয়ে। সূর্যকুমার যাদব যে ভাবে ব্যাট করেছেন, তা আকর্ষণীয় ছিল।’
আরও পড়ুন: এটা কী ছিল ভাই?- সূর্যের তেজকে মাথা নত করে কুর্নিশ জানালেন কোহলি
দ্রুত গতিতে রান তোলার লক্ষ্যেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন সূর্যকুমার। তাঁর ইনিংসে ভর করেই ভারতীয় দল হংকংয়ের বিরুদ্ধে সম্মানজনক ১৯২ রান তুলতে পেরেছে। ভারতীয় ইনিংসের শুরুতে লোকেশ রাহুল (৩৯ বলে ৩৬) ছিলেন কিছুটা মন্থর। যদিও রোহিত শর্মা (১৩ বলে ২১) শুরুটা আক্রমণাত্মক মেজাজেই করেছিলেন। কিন্তু তিনি উইকেটে বেশীক্ষণ স্থায়ী হননি। রাহুল আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন সূর্যকুমার যাদব। তিনি যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন ভারতের স্কোর ছিল ১৩ ওভারে মাত্র ৯৪ রান। শেষ সাত ওভারে ওঠে ৯৮ রান। উইকেটে সূর্যকুমারের সঙ্গে ছিলেন বিরাট কোহলি। তবু তাঁদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৬৮ রানই এল সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে। যার মধ্য়ে ২৬ রান সূর্য করেছেন শেষ ওভারে।
আরও পড়ুন: এমন শট ছেলেবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে রবারের বলে খেলতাম- খোলসা করলেন সূর্য
এশিয়া কাপে নিজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে নিজাকত খান বলেন, ‘আমি মনে করি, এশিয়া কাপ আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। তবে আমরা অনেকটা পিছিয়ে থেকেই শুরু করেছিলাম। তবে আমাদের খেলোয়াড়রা চোট নিয়েও খেলছে। তাই সমস্ত কৃতিত্ব ওদের। ওদের জন্য আমি খুব গর্বিত।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে, ভুলগুলো তাঁরা শুধরে নিতে যান। হংকং অধিনায়ক তাই বলেছেন, ‘আমরা আমাদের কৌশল এবং ডেথ বোলিং নিয়ে আগামীকাল বসে ভাবব। পরের ম্যাচে আমরা উন্নতি করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।