মঙ্গলবার ডাবলিনে একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে যায় ভারত। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান করে হার্দিক পাণ্ডিয়ার টিম। বিশাল স্কোর করার পরেও অবশ্য জেতার জন্য ভারতকে লড়াই করতে হয়। ভারতীয় বোলাররা এত রান বিলিয়েছেন, আয়ারল্যান্ড রান তাড়া করতে নেমে ২২১ রান করে ফেলেছিল। কোনও মতে ৪ রানে ভারত জয় পায়। তাও শেষ ওভারে উমরান নো-বল করেন, মোট ১২ রান দেন। তবু তিনিই ম্যাচের হিরো হয়ে যান।
শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ১৭ রান। ভারতীয় স্পিডস্টার উমরান মালিকের হাতে বল তুলে দেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। উমরানের কাঁধে পড়ে গুরু দায়িত্ব। প্রথম বলে কোনও রান না দিয়ে ওভারের শুরুটা ভালো করেছিলেন উমরান। তবে উমরানের ওভারস্টেপিং সমস্যা তাঁকে আবারও শেষ ওভারে সমস্যায় ফেলে। কারণ তিনি পরের বলটি নো করেন। তার পরে মার্ক অ্যাডায়ার তাঁকে পরপর দু'টি চার মারেন। এতে চাপে পড়ে যায় ভারত। ম্যাচটি তখন আয়ারল্যান্ডের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই ২২ বছরের তরুণের উপর স্নায়ুর চাপ বেড়ে যায়। সেটা নিয়ন্ত্রণ করে উমরান পরের ৩ বলে ১ করে রান দেন। যেটা কিন্তু খুব সহজ কাজ ছিল না।
আরও পড়ুন: হরির লুটের মতো রান বিলোলেন, জিতেও লজ্জার নজিরে নাম ভারতীয় বোলারদের
শেষ বলে আয়ারল্যান্ডের ৬ রানের প্রয়োজন ছিল। উমরান অফ-স্টাম্পের বাইরে একটি শর্ট-অফ-লেংথ ডেলিভারি দেন। কিন্তু অ্যাডায়ার ঠিক করে ব্যাটে-বলে লাগাতে পারেননি। ফলে ভারত ৪ রানে ম্যাচ জিতে যায়।
উমরানের পাশাপাশি সমস্ত ভারতীয় প্লেয়াররা ম্যাচ জিতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কারণ ভারতীয় বোলাররা এ দিন খুব খারাপ পারফরম্যান্স করেছেন। হরির লুটের মতো তাঁরা রান বিলিয়েছে। যার ফলে আয়ারল্যান্ড রান তাড়া করে দুরন্ত গতিতে ২২১ রান করে ফেলেছিল। ম্যাচটি তারা জিতলে অবাক হওয়ার কিছু থাকত না।
মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারত ২২৫ রান করে। দীপক হুডা দুরন্ত সেঞ্চুরি (৫৭ বলে ১০৪) করেন। কামব্যাক ম্যান সঞ্জু স্যামসন আবার ৪২ বলে ৭৭ রান করেছিলেন। দুই ক্রিকেটারই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরে পৌঁছেছিলেন। যার ফলে ভারত ২০০ রানের গণ্ডি সহজেই টপকে যায়। তবে শেষের ওভারগুলিতে পরপর উইকেট হারানোর ফলে রানের গতি কিছুটা শ্লথ হয়। শেষ দুই ওভারে ভারত মাত্র ১৩ রান করে। তা না হলে ভারত আরও বেশি রান করতে পারত। যাইহোক কোনও মতে, ভারত কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে সিরিজ ২-০ পকেটে পোড়ে।