আদৌও আর টেস্ট খেলতে পারবেন তো? তা নিয়ে একটা সময় রীতিমতো ধন্দে ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দেড় বছর পরে সেই অশ্বিনই হলেন নিউজিল্যান্ড সিরিজের সেরা। যিনি দু'ম্যাচে ১৪ টি উইকেট নিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্টে ১৪ টি উইকেট নিয়েছেন। সেরা বোলিং ফিগার - আট রানে চার উইকেট। গড় ১১.৩৬। স্ট্রাইক রেট ৪৪.১। সঙ্গে করেছেন ৭০ রান। সেজন্য সিরিজের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অশ্বিন। সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়ে অশ্বিন বলেন, 'এই পিচে বল করার সময় উপভোগ করেছি। বল ঘুরেছে। বেশি কামড় ছিল পিচে। দারুণ পিচ এটা। যখনই ওয়াংখেড়েতে আসবেন, কিছু না কিছু নতুন জিনিস থাকেই।'
অথচ দেড় বছর আগে এরকম পরিস্থিতি ছিল না। নিজের টেস্ট কেরিয়ার নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন অশ্বিন। দিনকয়েক আগেই বিসিসিআই টিভিতে শ্রেয়স আইয়ারকে অশ্বিন বলেছিলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমার জীবন এবং কেরিয়ারে যা হচ্ছিল, তাতে গত দু'বছরে করোনাভাইরাস মহামারী এবং লকডাউনের সময় আমি জানতাম যে আর টেস্ট খেলতে পারব কিনা।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ক্রাইস্টচার্চে ভারতের শেষ ম্যাচে খেলিনি (ভারত-নিউজিল্যান্ড সিরিজ, যে টেস্ট শুরু হয়েছিল গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি)। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম যে আমি আর টেস্ট খেলতে পারব কিনা, আমার ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, আমি কি টেস্ট দলে ঢুকতে পারব? এখন আমি একমাত্র যে ফরম্যাটে খেলছি (সেই সময় ভারতের হয়ে শুধু টেস্টে খেলতেন অশ্বিন)। তবে ঈশ্বরের আশীর্বাদে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।’
উল্লেখ্য, গত বছর থেকে অশ্বিনের সময়টা দুর্দান্ত কেটেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তো বোলিং থেকে পিঠে ব্যথা নিয়ে ম্যাচ বাঁচানোর গাঁথা ভারতীয় ক্রিকেটে অমর হয়ে থাকবে। হনুমা বিহারীর সঙ্গে তাঁর সেই লড়াইয়ের কারণে সিডনি টেস্ট বাঁচাতে পেরেছিল ভারত। যা ভারতের ২-১ সিরিজ জয়ের ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ করে দিয়েছিল। সেইসঙ্গে টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।