২০২২ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের কাছে এই টুর্নামেন্টে প্রথম পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে ভারত। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থাকা টিম ইন্ডিয়া সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে। আর এই ম্যাচে হারের দায় চাপানো হচ্ছে আর্শদীপের সিংয়ের উপর। ১৭.৩ ওভারে আসিফ আলির একটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেন আর্শদীপ সিং। যেটাকে সকলে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলছেন। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্শদীপের তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে। আর সেই সময়ে আর্শদীপের যন্ত্রণার শরিক হয়েছেন অভিনব মুকুন্দ।
ভারতের প্রবীণ ব্যাটার অভিনব মুকুন্দও সর্বোচ্চ স্তরে খেলতে গিয়ে একটি ক্যাচ মিস করেছিলেন। আর এই ধরনের ক্যাচ মিস করার যন্ত্রণার কথা তিনি ভালো করেই জানেন। মুকুন্দ, যিনি ২০১১-১৭ সালের মধ্যে ভারতের জার্সিতে সাতটি টেস্ট খেলেছিলেন। যিনি বছর পাঁচেক আগে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বিকল্প ফিল্ডার হিসাবে মাঠে নেমে তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের ক্যাচ একবার নয়, দু'বার মিস করেছিলেন।
আরও পড়ুন: আর্শদীপকে ব্যক্তিগত আক্রমণ সোশ্যাল মিডিয়ায়, গর্জে উঠলেন কোহলি-ভাজ্জি-হাফিজরা
স্মিথ সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে চার বার প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন এবং ম্যাচজয়ী সেঞ্চুরি করেছিলেন। মুকুন্দের দু'বার ক্যাচ মিস করা ছাড়াও মুরলি বিজয় এবং অজিঙ্কা রাহানেও দু'বার স্মিথকে সাজঘরে ফেরানোর সুযোগ নষ্ট করেছিলেন। মুকুন্দের ফিল্ডিং এই টেস্ট ছোট্ট একটি পার্ট ছিল ঠিকই, তবে মূলত ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরেই হারতে হয়েছিল ভারতকে। তবে স্মিথের ক্যাচ মিস করায়, তাঁর দিকে যে ভাবে আঙুল উঠেছিল, সেটা এখনও ভোলেননি মুকুন্দ। তিনি চান না, তাঁর সঙ্গে যা ঘটেছে, সেটা আর্শদীপের সঙ্গে না ঘটুক।
আরও পড়ুন: আর্শদীপের ক্যাচ মিসে মেজাজ হারান রোহিত, নিজেও কিন্তু বড় ভুল করেছেন
টুইটে মুকুন্দ লিখেছেন, ‘পুনে টেস্টে স্টিভ স্মিথের ক্যাচ ফেলার পরে আমি নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারছিলাম না। আমার রুমে একা একা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেঁদে চলেছিলাম। আমি সত্যিই আশা করি অর্শদীপ সিং যেন এমন অনুভব না করেন। আজ রাতে (রবিবার রাতে) তিনি আমাদের দেশের অন্য কারও চেয়ে কম কিছু লড়াই করেননি। ওকে কিছুটা সময় দেওয়া দরকার!’
১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে শর্ট থার্ডম্যানের নির্দেশে আসিফ আলির সহজ ক্যাচ ফেলে দেন আর্শদীপ। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আর্শদীপ যখন আসিফের ক্যাচ ফেলে দেন, তখন রানের খাতাই খোলেননি পাক তারকা। এর পর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৮ বলে ২টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ রানের ইনিংস খেলেন। যা পাকিস্তানের জয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেই সময় যদি আর্শদীপ যদি আসিফের ক্যাচ মিস না করতেন, তা হলে হয়তো ম্যাচের ফল ভারতের পক্ষেই যেত।
সুপার ফোরে টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী ম্যাচ ৬ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। আর রোহিত শর্মার দল ৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে। ভারতকে ফাইনালে উঠতে হলে, যে কোনও অবস্থাতেই দু'টি ম্যাচই জিততে হবে। টিম ইন্ডিয়ার একটি ভুল কিন্তু তাদের ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে দিতে পারে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।