বাংলা নিউজ > ময়দান > India vs Pakistan: 'সেই ম্যাচের কথা ভাবলে আজও ঘুম আসে না', পাকিস্তানের কাছে কোন ম্যাচে হেরে ভেঙে পড়েছিলেন, জানালেন কপিল

India vs Pakistan: 'সেই ম্যাচের কথা ভাবলে আজও ঘুম আসে না', পাকিস্তানের কাছে কোন ম্যাচে হেরে ভেঙে পড়েছিলেন, জানালেন কপিল

কপিল দেব। ছবি- পিটিআই।

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের আগে অতীতের বিভীষিকাময় এক ম্যাচের স্মৃতিচারণ করলেন কিংবদন্তি কপিল দেব।

গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপের পরে ফের ক্রিকেটের মাঠে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান। এশিয়া কাপের হাই ভোল্টেজ ভারত-পাক ম্যাচের আগে বিস্তর আলোচনা চলছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দু'দেশের ব্যাট-বলের লড়াই নিয়ে।

এমন আবহে কিংবদন্তি কপিল দেব তুলে ধরলেন অতীতের এমনই এক ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচের প্রসঙ্গ, যেখানে পাকিস্তান শেষ বলে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার কাছ থেকে। ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে আলোচনায় কপিল স্মৃতিচারণ করেন ১৯৮৬ সালের সেই ম্যাচের, যেখানে শেষ বলে জয়ের জন্য চার রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। চেতন শর্মার শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন জাভেয় মিয়াঁদাদ।

স্টার স্পোর্টসের আলোচনায় আক্রম সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ তোলেন। পরে কপিল শেষ বলে হারের পরে কী বিভীষিকার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের, সেটাই জানান। আক্রম বলেন, ‘স্মরণীয় ম্যাচ, যেখানে তোমরা (ভারত) ২৭০ রানের দিকে এগচ্ছিলে। তার পরেই আমি তাড়াতাড়ি ৩ উইকেট তুলে নিই এবং তোমরা ২৪৫-এ আটকে গিয়েছিলে।’

সেই রেশ টেনেই কপিল বলেন, ‘শেষ ওভারে আমাদের হাতে বোধহয় ১২-১৩ রান ছিল। মোটেও সহজ কাজ ছিল না। সেই সময়ে শেষ ওভারে এত রান তুলে ম্যাচ জেতা কার্যত অসম্ভব ছিল।’

আরও পড়ুন:- কারা জিতবে? এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে অপ্রত্যাশিত রায় আফ্রিদির, জামাই খেলবেন না বলেই কি এমন জবাব?

পরক্ষণেই কপিল যোগ করেন, ‘শেষ ওভারে আমরা চেতনকে ডাকি। আজকের দিনে বসেও আমার কখনও মনে হয়নি যে ওর কোনও ভুল ছিল। ওদের শেষ বলে ৪ রান দরকার ছিল। আমাদের মনে হয় ইয়র্কারই এক্ষেত্রে বাঁচার সেরা উপায় হতে পারে। এছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না। ও নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে। তবে বলটা লো-ফুলটস হয়ে যায়। মিয়াঁদাদ কানেক্ট করে দেয়। এখনও সেই ম্যাচের কথা ভাবলে ঘুম আসে না। গোটা দলের মনোবল ভেঙে দেয় সেই হার, যা আমাদের বয়ে বেড়াতে হয় পরের চার বছর। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুবই কঠিন ছিল।’

আরও পড়ুন:- IPL 2023: জাদেজা দল ছাড়ছেন! তবে কি রায়নাকে ফেরাচ্ছে CSK? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে জল্পনা বাড়ালেন চিন্না থালা

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে শারজায় অস্ট্রাল-এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৪৫ রান তোলে। শ্রীকান্ত ৭৫, গাভসকর ৯২ ও বেঙ্গসরকার ৫০ রান করেন। ৩টি উইকেট নেন আক্রম। পালটা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৯ উইকেটে ২৪৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। মিয়াঁদাদ ১১৬ রান করেন। ৩টি উইকেট নেন চেতন শর্মা।

রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।

বন্ধ করুন