বাবর আজমের নেতৃত্বে পাকিস্তান ক্রিকেট দল রবিবার সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে। চার বছর পর এশিয়া কাপে টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে কোনও ম্যাচে জিতল পাকিস্তান। জয়ের জন্য ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯.৫ ওভারেই সেটা সংগ্রহ করে ফেলেন বাবর আজমরা। ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক ছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান এবং মহম্মদ নওয়াজ। টিম ইন্ডিয়ার হারাতে তাঁদের দু'জনেই নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
জয়ের কৃতিত্ব পুরো দলকে দিয়েছেন বাবর
টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে জয়ের পর, বাবর আজম পুরো দলকে জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘আমি সব সময় জিনিস সহজ রাখতেই ভালোবাসি। গোটা দলের কৃতিত্ব প্রাপ্য। বিপক্ষের রান বড় হওয়া সত্ত্বেও ওরা চাপে পড়েনি এবং জেতার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: হিরো থেকে জিরো হার্দিক, শেষ ওভারে ভারত হারায় ব্যর্থ হয় কোহলির লড়াই
রিজওয়ান-নওয়াজের জুটি ছিল টার্নিং পয়েন্ট
রিজওয়ান-নওয়াজ জুটি সম্পর্কে বাবর বলেছেন, ‘ভারতীয় দল যে ভাবে পাওয়ারপ্লে ব্যবহার করেছে, তারা সুবিধা পেয়েছে। আমি মনে করি, এর পর আমাদের বোলাররা যে ভাবে ফিরে এসেছে তা দুর্দান্ত ছিল। যে ধরনের পার্টনারশিপ করেছেন রিজওয়ান ও মহম্মদ নওয়াজ, তা অসাধারণ ছিল। দুরন্ত একটা জুটি দেখলাম। ওদের জুটি অত ভাল খেলার পরেই, ম্যাচটা আমাদের হাতে চলে এল। এটাই ছিল আমাদের জন্য ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। নওয়াজ যেভাবে ব্যাটিং করেছে তা অসাধারণ।’ তৃতীয় উইকেটে রিজওয়ান ও নওয়াজ ৭৩ (৪১) রানের জুটি গড়েন।
আমি মন থেকে সিদ্ধান্ত নিই
নির্দিষ্ট একটা ভাবনা থেকেই মহম্মদ নওয়াজকে চার নম্বরে তুলে এনেছিলেন বাবর আজম। সেই ফাটকা কাজে লেগে যাওয়ায় তিনি খুশি। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘ম্যাচ অনুযায়ী আমার মনে যা আসে তাই চেষ্টা করি। আমার একটা অনুভূতি ছিল যে, নওয়াজ এখানে ভালো করতে পারে, ওর সেই অভিজ্ঞতা আছে। নওয়াজ এমনিতে ভালই ব্যাট করে। তখন ভারত দুই লেগস্পিনারকে দিয়ে বল করাচ্ছিল। সেটা দেখেই নওয়াজকে আগে পাঠাই। সেটা কাজে লেগে যাওয়ায় আমি খুশি।’
আরও পড়ুন: ‘অনেকের কাছে নম্বর রয়েছে, ধোনি ছাড়া আর কেউ যোগাযোগ করেনি’, কেন আক্ষেপ কোহলির?
চারে ব্যাট করতে নেমে নওয়াজ ২০ বলে ৪২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন। তিনি ২১০ স্ট্রাইকরেটে রান করেন এবং তার ইনিংসে ৬টি চার এবং ২টি ছক্কা রয়েছে।
ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করেন বোলাররা
দলের স্পিনারদের প্রশংসা করতে গিয়ে বাবর বলেন, ‘শাদাব ও নওয়াজ যে ভাবে বোলিং করেছে তা চমৎকার। এ রপর আমাদের ফাস্ট বোলাররা যে ভাবে ইনিংস শেষ করেছেন তাও প্রশংসনীয়।’ পাকিস্তানের হয়ে নওয়াজ ২৫ রানে ১টি এবং শাদাব খান ৩১ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন মহম্মদ নওয়াজ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।