তিরুবনন্তপুরমে বোলিং সহায়ক পিচে ভারতের হয়ে ম্যাচ জেতানো দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেন কেএল রাহুল। তাঁর ৫৬ বলে ৫১ রানের ইনিংস ভারতকে ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করেছিল। তা সত্ত্বেও কিন্তু লজ্জার নজির গড়ে ফেলল রাহুল। কোনও টেস্ট জয়ী দেশের প্লেয়ারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে মন্থর হাফসেঞ্চুরি করল কেএল রাহুলের।
আরও পড়ুন: ম্যাচের সেরা হলে কী বলব, সেটা নিয়ে খুব উত্তেজিত ছিলাম, অকপট স্বীকারোক্তি আর্শের
ভারতীয়দের মধ্যে এর আগে মন্থর অর্ধশতরানের রেকর্ড ছিল গৌতম গম্ভীরের। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫৪ বলে তিনি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রাহুল ৫৬ বল খেলে অর্ধশতরান করেন। সেই সঙ্গেই তিনি গড়লেন লজ্জার নজির। যদিও রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার উইকেট হারিয়ে ভারত চাপে পড়লে, হাল ধরেছিলেন কেএল রাহুলই। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন সূর্যকুমার যাদব। রাহুল-সূর্য জুটি অপরাজিত ৯৩ রানের পার্টনারশিপ করে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: ব্যাটাররা মানিয়ে নিতে পারেনি, অলৌকিক কিছু না হলে এই ম্যাচ জেতা যায় না- বাভুমা
বুধবার টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের দাপটে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৬ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৪১ রান করেন কেশব মহারাজ। এ ছাড়া এডেন মার্করামের ২৫ (২৪ বলে) এবং ওয়েন পার্নেলের ২৪ (৩৭ বলে) ছাড়া বাকিদের স্কোর দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছয়নি। ডাক করেছেন চার জন ব্যাটার। কেশব মহরাজ ৪১ রানের ইনিংস না খেললে, দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১০০ পার করত কিনা, সন্দেহ রয়েছে। আর্শদীপ সিং ৩ উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসেই তাঁর ৩ উইকেট প্রোটিয়াদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়। এ ছাড়াও ২টি করে উইকেট নিয়েছেন দীপক চাহার এবং হার্ষাল প্যাটেল। অক্ষর প্যাটেল নিয়েছেন ১ উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে কেএল রাহুল এবং সূর্যকুমার যাদব মিলিয়ে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। ৫৬ বলে ৫১ করেন অপরাজিত থাকেন রাহুল। ৩৩ বলে অপরাজিত ৫০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন সূর্য। এ দিন অবশ্য রোহিত শর্মা (২ বলে ০) এবং বিরাট কোহলি (৯ বলে ৩) ব্যর্থ হয়েছেন। যাইহোক ভারত ১৬.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান করে ফেলে। ২০ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় টিম ই দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাডা এবং এনরিখ নরকিয়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।