জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স ময়দানে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্ট বেশ রোমাঞ্চকর জায়গায় এসে পৌঁছেছে। জয়ের জন্য ২৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা দুই উইকেটের বিনিময়ে ১১৮। জেতা, হারা, তো পরের ব্যাপার, দলের এই জয়ের সুযোগটুকু তৈরি করতে পারার জন্য প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারের বিশাল কৃতিত্ব প্রাপ্য।
এলগার সিরিজ শুরু আগেই চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের কথা বলেছিলেন। তৃতীয় দিনে তিনি সত্যিই লড়াই করলেন বটে। বল হাতে যখন জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ শামিদের একের পর এক আগুনে বল আছড়ে পড়ছে উইকেটে, তখনই শরীরে একের পর এক আঘাত খেয়েও ক্রিজে টিকে রইলেন ক্যাপ্টেন এলগার। বলের আঘাত শরীরে ব্যথা দিলেও তাঁকে মানসিকভাবে কিন্তু ভাঙতে পারেনি। তৃতীয় দিনের শেষে ১২১ খেলে ৪৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন এলগার। তাঁর এই ইনিংসে ভর করেই ওয়ান্ডারার্সে প্রথমবার ভারতকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এলগারের এই কঠিন মানসিকতা ও নাছোড় মনোভাব কিন্তু নেটিজেনদের থেকে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে। সেই তালিকায় সামিল প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও। ইয়ান বিশপ যেমন নিজের বিস্ময় প্রকাশ করে এলগারের আরও প্রশংসার দাবি জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘জানি না দক্ষিণ আফ্রিকা ওখানে (খারাপ পিচে) কী করে মাত্র দুই উইকেটের বিনিময়ে ১১৪ রান (আদপে ১১৮) করল। আমাদের ডিন এলগার, ডিমুথ করুণারত্নেদের আরও বেশি করে বাহবা জানানো উচিত। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে টেস্ট ক্রিকেটের দুই আন্ডারেটেড, কিন্তু দৃঢ়মনস্ক দুই ওপেনার ওরা।’
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে চেতেশ্বর পূজারা এবং অজিঙ্কা রাহানের ঝোড়ো ইনিংসে ভারত দ্রুত বড় রানের লক্ষ্যে এগোচ্ছিল। তবে পরপর দুই ওভারে দুইজনকেই সাজঘরে ফেরান কাগিসো রাবাদা। এরপর শার্দুল ঠাকুর ২৮ ও হনুমা বিহারী অপরাজিত ৪০ রান করলেও ভারতীয় দল ২৬৬ রানেই অল আউট হয়ে যায়। জবাবে এডেন মার্করামের ৩৮ বলে ৩১ রানের সুবাদে প্রোটিয়ারাও দ্রত গতিতে রান তোলা শুরু করে। কিগান পিটারসেন করেন ২৮ রান। রাসি ভ্যান ডার দাসেন ক্রিজে ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের আর ১২২ রান দরকার। হাতে রয়েছে আট উইকেট।