শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পিঙ্ক বল টেস্টে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ বলে দুরন্ত অর্ধশতরান করেন ঋষভ পন্ত। সেই সঙ্গেই গড়ে ফেলেন নয়া নজির। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে হাফ সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তি ক্রিকেটার কপিল দেবের রেকর্ড ভেঙে দেন পন্ত। পন্ত মাত্র ২৮ বলে ৫০ রান করেন। কপিল দেব ১৯৮২ সালে করাচিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। রবিবার কপিলকে টপকে যান পন্ত।
শুধু তাই নয়, এ দিন বেঙ্গালুরুতে নিজের গুরু মহেন্দ্র সিং ধোনির রেকর্ডও ভেঙে দেন পন্ত। উইকেটরক্ষক হিসাবে টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। এর আগে ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টে ৩৪ বলে ৫০ করেছিলেন এমএস ধোনি। ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই টেস্টে ইয়ান স্মিথও ৩৪ বলে ৫০ রান করেছিলেন। কিন্তু ভারতের তরুণ উইকেটরক্ষক মাহি এবং স্মিথকে ছাপিয়ে যান পিঙ্ক বল টেস্টে।
পন্তের দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখার পর অভিভূত ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার নিখিল চোপড়া। তাঁর মতে, ধোনি তাঁর রেকর্ড পন্তকে ভাঙতে দেখলে খুশিই হবেন। আসলে ধোনিকে টেনে প্রতি মুহূর্তে পন্তের তুলনা করা হয়। তবে নিখিল মনে করেন, পন্ত যদি বুদ্ধিমানের মতো ক্রিকেট খেলেন, তবে তিনি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবেন।
খেলনীতি পডকাস্টে নিখিল চোপড়া বলেছেন, ‘ঋষভ পন্ত তাঁর পায়ের দুর্দান্ত ব্যবহার করছিলেন। আমি আশা করি, ও ওঁর ক্ষমতার অন্তত সত্তর শতাংশ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখবেন। ওঁর ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতার দিক থেকে কিন্তু অ্যাডাম গিলক্রিস্টের মতো দুর্দান্ত উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকেও অতিক্রম করে যেতে পারেন। এমন কী এমএস ধোনি নিজেই চাইবেন, পন্ত ওর রেকর্ড ভাঙুন।’
এর সঙ্গেই নিখিল চোপড়া যোগ করেছেন, ‘প্রথম ইনিংসের ভুলের পুনরাবৃত্তি ঋষভ পন্তকে না করতে দেখে ভালো লাগল। ও যদি এমন বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেট খেলতে থাকেন, তা হলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবেন। এবং যা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য ভালো লক্ষণ।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।