বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। ফলে বেশ কিছুদিন জাতীয় দলের আঙিনা থেকে দূরে থাকতে হয় জেমিমা রডরিগেজকে। এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে পুনরায় জাতীয় দলের আঙিনায় ফিরে এলেন জেমিমা।
সিনিয়র ওমেনস টি-২০ লিগের পরে ওমেনস টি-২০ চ্যালেঞ্জেও ব্যাট হাতে রং ছড়ান রডরিগেজ। যার ফলে শ্রীলঙ্কা সফরের টি-২০ সিরিজের জন্য ভারতীয় দলে জায়গা পেলেন তিনি। যদিও ওয়ান ডে সিরিজের স্কোয়াডে সুযোগ হয়নি তাঁর।
অন্যদিকে, ঘরোয়া ক্রিকেটে চার-ছক্কার ঝড় তুললেও এখনই জাতীয় দলের দরজা খুলল না কিরণ নভগিরের সামনে। সিনিয়র ওমেনস টি-২০ টুর্নামেন্টে ৩৫টি ছক্কা মারেন নভগির। যতদিনের রেকর্ড নথিবদ্ধ রয়েছে, মেয়েদের কোনও টুর্নামেন্টে এত ছক্কা বিশ্বের আর কোথাও কেউ মারেননি। তিনি টুর্নামেন্টে চার মারেন ৫৪টি। টুর্নামেন্টে মোট ৫২৫ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
সিনিয়র ওমেনস টি-২০ ট্রফিতেই ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০ ইনিংসে ১৫০ রানের গণ্ডি টপকে সর্বকালীন রেকর্ড গড়েন নভগির। অরুণাচলের বিরুদ্ধে ৭৬ বলে ১৬২ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন কিরণ।
পরে ওমেনস টি-২০ চ্যালেঞ্জে ট্রেলব্লেজার্সের বিরদ্ধে ভেলোসিটির হয়ে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নভগির। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটিই সব থেকে কম বলে হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড। সেই ইনিংসে নভগির ৫টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৬৯ রান সংগ্রহ করেন।
স্বাভাবিকভাবেই এমন পারফর্ম্যান্সের পরে আশা করা হচ্ছিল শ্রীলঙ্কা সফরের ভারতীয় দলে জায়গা পেতে পারেন কিরণ। যদিও জাতীয় নির্বাচকরা এখনই নভগিরকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচনা করেননি।
ভারতের টি-২০ স্কোয়াড: হরমনপ্রীত কউর (ক্যাপ্টেন), স্মৃতি মন্ধনা (ভাইস ক্যাপ্টেন), শেফালি বর্মা, যস্তিকা ভাটিয়া (উইকেটকিপার), সাবভিনেনি মেঘনা, দীপ্তি শর্মা, পুনম যাদব, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়, সিমরন বাহাদুর, রিচা ঘোষ (উইকেটকিপার), পূজা বস্ত্রকার, মেঘনা সিং, রেনুকা সিং, জেমিমা রডরিগেজ, ও রাধা যাদব।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।