গত ম্যাচে ঝোড়ো ৫৭ রান করার পর, ধরমশালায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করেন শ্রেয়স আইয়ার। তাঁর ৪৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংসের জন্যই তাঁকে ম্যাচ সেরা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ইনিংসের একেবারে শুরুর দিকেই আরেকটু হলেই ৪ রানে সাজঘরে ফিরতে হত শ্রেয়সকে।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে চামিরার বিরুদ্ধে উইকেট থেকে সরে গিয়ে বড় শট মারতে গিয়ে আরেকটু হলেই বোল্ড হয়ে যাচ্ছিলেন শ্রেয়স। তবে ভাগ্যক্রমে বল আউট সুইং হওয়ায় তা উইকেটে লাগেনি। এই বিষয়ে ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টার Star Sports-কে শ্রেয়স জানান, ‘আমি মোটামুটি সঠিক সময়েই সরে গিয়ে বল মারার সিদ্ধান্ত নিই। এটা করলে আমার মনে হয় আমার রিফ্লেক্স বেশি ভাল কাজ করে। সেই কারণেই আমি সরে গিয়ে মারতে গিয়েছিলাম। তবে ও ফুল লেংথে বলটা বেশ ভালই করেছিল। ভাগ্যক্রমে সুইংয়ের জন্য ওটা উইকেটে লাগেনি। আমি নিজেও রিপ্লে দেখে খানিকটা চমকে গিয়েছিলাম।’
তবে দুই লঙ্কান ফাস্ট বোলারের সুইং ও গতি সামলে স্পিনারদের বিরুদ্ধে আক্রমণের পথ বেছে নেন শ্রেয়স। ভাল বল করলেও দুই ওভার করে করার পরই চামিরা ও লাহিরু কুমারাকে আর শুরুতে ওভার করতে দেওয়া হয়নি। ইনিংসের শেষের দিকে ফেরত এলে দুই বোলারের বিরুদ্ধেই দারুণ প্রহার করেন শ্রেয়সরা। প্রশ্ন উঠছে দুর্দান্ত ছন্দে দেখানো ফাস্ট বোলারদের কি আরেকটা করে ওভার করাতে পারতেন না লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। এই বিষয়ে শ্রেয়স কিন্তু একদম সাফ। কী হলে, কী হতে পারত তা নিয়ে তাঁর কোনো মাথাব্যথা নেই।
‘আমি (কী হতে পারত) সেই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করিনি। নিজের খেলার ওপরই এবং ঠিক সেই মুহূর্তে কী হচ্ছে, তার ওপর ফোকাস করছিলাম। দলের আলোচনায় সভাতেও আমরা এই নিয়েই কথাবার্তা বলে থাকি। বল কিন্তু স্পিন হচ্ছিল না, সেটা প্রথম কয়েকটা বল খেলার পরেই আমি বুঝে যাই। তাই আগে এগিয়ে এসে শট মারার একটা সুযোগ ছিল। বলগুলো অনেক দূরেই যাচ্ছিল, তাই হাওয়ায় বড় শট মারার চেষ্টা করি।’ দাবি শ্রেয়সের। ভারতীয় সমর্থকরা চাইবেন তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও যেন শ্রেয়সের এমন দাপুটে ফর্ম অব্যাহত থাকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।