ম্যাচের তখন ২৩ ওভার চলছে। বাঁ হাতি আর্ম স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রমের বলে সুইপ্ট শট মিস করেন সূর্যকুমার যাদব। সেই বলটা প্যাডের সামনে লাগলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা আবেদন করেন। আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নেয় ভারত। তবে সে সবে খেয়াল ছিল না শ্রীলঙ্কা টিমের। সূর্যকে আউট করার সেলিব্রশনে মেতেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্লেয়াররা।
উল্টোদিকে থাকা মণিশ পাণ্ডের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ডিআরএস-এর সিদ্ধান্ত নেন সূর্যকুমার। এর পর থার্ড রেফারির সিদ্ধান্ত নিতে প্রায় ৫ মিনিট পার হয়ে গিয়েছিল। প্রবল বিভ্রান্তি তৈরি হয়। আউট কি আউট নয়, এই নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। ম্যাচ অফিসিয়ালরাও দ্বিধায় পড়ে যান।
অনফিল্ড আম্পায়ারকে কিছু না বলে তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে আবার দেখতে থাকেন। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, শ্রীলঙ্কা ধরেই নিয়েছিল সূর্যকুমার আউট হয়ে গিয়েছে। তারা সেলিব্রেশন শুরু করে দেয়। সূর্যকুমার যাদব মাঠ ছেড়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে থার্ড আম্পায়ার নট আউট দেন। সূর্যকে তখন ডেকে ফিরিয়ে আনেন ফিল্ড আম্পায়ার। আর এই ঘটনার পুরো ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর এতে ট্রোলড হতে হয় শ্রীলঙ্কার প্লেয়ারদের।
সূর্যকুমার ৩১ ওভারে শেষ পর্যন্ত আউট হন। ৩৭ বলে ৪০ রান করে ধনঞ্জয়া ডি'সিলভার বলে এলবিডব্লু আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান সূর্য। মজার বিষয়, দ্বিতীয় বারও ডিআরএস-এর মাধ্যমেই তাঁর আউটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূর্যকুমারকে প্রথমে আম্পায়ার আউট না দিলে, রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। তাতে আউট হন সূর্য। ১৯০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সূর্য আউট হওয়ার পরে অবশ্য ভারতের ব্যাটিং অর্ডারও একেবারে ভেঙে পড়ে। ২২৫ রানে অল আউট হয়ে যায় শিখর ধাওয়ানের টিম।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।