শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৮ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেছেন শ্রেয়স আইয়ার। তবে ম্যাচের পর তিনি স্বীকার করে নেন, শুরুটা তিন একটু ধীর গতিতে করেছিলেন। কারণ পিচের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা সহজ ছিল না।
একটা সময়ে তাঁর স্কোর ছিল ১৪ বলে ১৭ রান। কিন্তু পরের ১৪ বলে শ্রেয়স করেন ঝড়ো ৪০ রান। যার জেরে ভারতের স্কোর পৌঁছয় ১৯৯-তে। ইশান কিষাণ আউট হওয়ার পর ৩ ওভার পেয়েছিল শ্রেয়স আইয়ার-রবীন্দ্র জাদেজা জুটি। কারণ ১৭তম ওভারের শেষ বলে আইট হয়েছিলেন ইশান। ৫৬ বলে ৮৯ রান করে আউট হন তিনি। সেই সময়ে ১৪ বলে ১৭ রান ছিল শ্রেয়সের। পরের ৩ ওভারের মধ্যে মাত্র ৪ বল খেলেছেন জাদেজা। আর বাকি ১৪ বলে একেবারে সুনামী বইয়ে দেন শ্রেয়স।
ম্যাচের পর আইয়ার বলেন, ‘আমার শুরুটা কিছুটা ধীর গতির ছিল। কিন্তু শুরুতেই পিচের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা সহজ ছিল না। কিন্তু একবার যখন আমার মনসংযোগ চলে এল এবং বাউন্ডারি পেলাম, তখন আমি ভেবেছিলাম এ বার চালিয়ে খেলব। ইশান (কিষান) বরং মাঝের ওভারে ধৈর্য হারাচ্ছিল, তাই আমি ওকেও সময় নিতে বলেছিলাম এবং তার পরে ও আবার ভালো টাইমিং করতে শুরু করেছিল। আমি ওকে শুধু বলেছিলাম, ওর সময় নিতে। আর শুরুতে দুই এবং তিন রান করে নিতে বলেছিলাম।’
ইশান কিষাণের সাথে ব্যাট করার সময় তাঁদের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, আইয়ার স্ট্রাইক রোটেশনের কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল প্রথমে খুচরো রানের চেষ্টা করা। প্রাথমিক ভাবে আমরা সেটাই করার চেষ্টা করেছিলাম, এবং আমাদের জন্য জিনিসগুলি বেশ ভালো ভাবে বেরিয়ে এসেছে। এটি একটি বিশাল মাঠ, বিশেষ করে ইডেন গার্ডেনে (কলকাতার) খেলার পরে। আমরা দু' রান করে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম।’
নিজের ইনিংস সম্পর্কে আইয়ার বলেছেন, ‘আমি ক্রিজে টিকে থাকার চেষ্টা করেছিলাম। এর বেশি আমি খুব বেশি চিন্তা করছিলাম না। আমার মনে হয়েছিল, ১৮০ হলে সেটা ভালো স্কোর হবে। আমি শুধু বলে মনোযোগ দিয়েছিলাম। এবং সেটা ভালো ভাবে লক্ষ্য করে শটগুলি খেলার চেষ্টা করেছি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।