Virat Kohli on century in IND vs SL ODI: অনুষ্কা-ভামিকার সঙ্গে বৃন্দাবন সফরেই লুকিয়ে সাফল্যের রহস্য, ফাঁস বিরাটের

Virat Kohli on century in IND vs SL ODI: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে ৮৭ বলে ১১৩ রান করেন বিরাট কোহলি। স্ট্রাইক রেট ছিল ১২৯.৮৮। ১২ টি চার মারেন। ছক্কা হাঁকান একটি।

শতরানের পর উচ্ছ্বাস বিরাট কোহলি (ছবি সৌজন্যে এএনআই), স্ত্রী অনুষ্কা ও মেয়ে ভামিকার সঙ্গে বিরাট। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজটা ভালো কাটেনি। সেই সিরিজের পর সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন। স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা ও মেয়ে ভামিকার সঙ্গে বৃন্দাবন সফরে গিয়েছিলেন। মঙ্গলার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শতরানের পর সাফল্যের কারণ হিসেবে সেই ছোটো বিরতি যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তা ফাঁস করলেন বিরাট কোহলি।

মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে বিরাট ৮৭ বলে ১১৩ রান করেন। স্ট্রাইক রেট ছিল ১২৯.৮৮। ১২ টি চার মারেন। ছক্কা হাঁকান একটি। সেই ইনিংসের পর বিরাট বলেন, ‘আমি কিছুটা বিরতি নিয়েছিলাম। এই ম্যাচের আগে দুটি প্র্যাকটিস সেশন করেছিলাম। ওই বাংলাদেশ সফরের পর মানসিকভাবে কিছুটা তাজা হয়ে উঠেছিলাম। কারণ ওই সিরিজে আমি যেরকম ভেবেছিলাম, সেরকম হয়নি।’

বিরাট জানান, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ শুরুর আগে নেটে যখন ব্যাট করছিলেন, তখন ভালো ছন্দে ছিলেন। ভালোভাবে টাইমিং হচ্ছিল। ব্যাটে-বলে ঠিকভাবে হচ্ছিল বলে জানান বিরাট। তাঁর কথায়, 'ঘরের মাঠে ক্রিকেট মরশুম শুরু হওয়ার জন্য উত্তেজিত ছিলাম। নেট আমি বেশ ভালোভাবে শট মারছিলাম। আজ স্রেফ সেটা অব্যাহত হয়েছে। তাছাড়া ওপেনাররা যেভাবে খেলেছে, তাতে নিজের ছন্দে খেলতে পেরেছি। প্রথম থেকেই ইতিবাচক থাকতে পেরেছি। কারণ বোলাররা চাপের মধ্যে ছিল।'

তারইমধ্যে মঙ্গলবারের ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ভালো রাখার দিকে বাড়তি নজর ছিলেন বলেও জানিয়েছেন বিরাট। তিনি বলেন, ‘ইনিংসের শেষপর্যন্ত ব্যাট করার লক্ষ্য ছিল। যে কাজটা আমি সাধারণত একদিনের ক্রিকেটে করে থাকি। তারইমধ্যে স্ট্রাইক রেটের বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছিল। কারণ আমাদের বড় স্কোর খাড়া করতে হত। শিশির একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে।’

মঙ্গলবার শতরানও করলেও ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন বিরাট। অর্ধশতরান করার কিছুটা পরেই তাঁর ক্যাচ ফস্কে দেন কুশল মেন্ডিস। সেই জীবনদানের সদ্ব্যবহার করেন বিরাট। তিনি বলেন, ‘যে কোনওদিন আমি এরকম সুযোগ পেতে চাইব (হাসি)। ভাগ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরকম ধরনের সন্ধ্যার জন্য শুধু মাথানত করে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পাওয়া গিয়েছে। আমি মানছি যে ভাগ্যের সহায়তা না পেলে আমরা হতাশ হতে যাই। কিন্তু এই ধরনের সন্ধ্যাটাও স্মরণ করে রাখা উচিত। কারণ আমি ৫০ রানে আউট হতে যেতে পারতাম। শেষপর্যন্ত শতরান করেছি আমি।’