ওডিআই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুই বলে শূন্য রান করে বিদায় নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার সময় বিব্রতকর হাসি ছিল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের মুখে। ৩৩ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় আগের দুটি ম্যাচেও ভালো খেলতে পারেননি। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরিও নেই বিরাটের। এমন অবস্থায় সকলেই বলছেন কবে ফিরবে বিরাটের ফর্ম।
জোসেফের ওয়াইড ডেলিভারিতে ফ্লিক করার প্রয়াসে কোহলি শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। কেউ কেউ এটাকে দুর্ভাগ্যজনক আউট হিসেবে বর্ণনা করলেও, কেউ কেউ ব্যাট হাতে প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাড প্যাচকে মানতে চান না। কোহলি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে করেছেন মাত্র ২৬ রান। তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক ওডিআই সিরিজে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান করেন তিনি। ২০১২/১৩ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের পর প্রথম এত কম রান করেন তিনি। সেবারে তিনি মাত্র ১৩ রান করেছিলেন। সেবারে তার তিন ইনিংসে রানের গড় ছিল ৪.৩৩।
ভারত অধিনায়ক হিসাবে দায়িত্ব ছাড়ার পরে এই দুরন্ত ব্যাটার নিজের ছন্দে নেই। রভজন সিং মনে করেন নেতৃত্বের পরিবর্তনের পরে কোহলিকে তার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। অভিজ্ঞ ভারতের অফ-স্পিনার বলেছেন কোহলি তার হারানো ফর্ম ফিরে পাওয়ার থেকে মাত্র একটি বড় ইনিংস দূরে রয়েছেন। হরভজন বলেন, ‘এই মুহূর্তে বিরাটের আত্মবিশ্বাস সেই স্তরে নেই। একটা সময় ছিল যখন বোলারদের পক্ষে তাকে আউট করা অসম্ভব ছিল। গত তিন-চার মাসে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এমনকি আপনি যদি একজন বড় খেলোয়াড় হন, আপনি যখন একের পর এক অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন, তখন কিছু জিনিস স্বাভাবিকভাবেই আপনার বিরুদ্ধে যায়। আপনার মনের সঙ্গে খেলা শুরু হয়। তিনি এটি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন কিন্তু বিষয়গুলো তার মনের মতো যাচ্ছে না।’
হরভজন আরও বলেন, ‘ব্যাটিং-এর দৃষ্টিকোণ থেকে তার কোনও পরিবর্তনের দরকার নেই। যখন সে ফর্মে ফিরবে তখন সে সেঞ্চুরি করবে। সে তখন একটা নয়, আরও কয়েকটা সেঞ্চুরি করবে। একবার সে তার সাম্প্রতিক বিষয়গুলোকে পিছনে ফেলে মন-মানসিকতা ঠিক করলেই সবটা ঠিক হবে। তখন আপনি পুরানো বিরাটকে দেখতে পাবেন, যিনি এমএস ধোনির অধীনে একটা সময় খেলতেন।’