ওয়ান ডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর, ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও হারতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১৫৭ রান করার পর বল হাতে ম্যাচ ক্ষণিকের জন্য ৫০-৫০ করতে পারলেও শেষে সহজেই সাত বল বাকি থাকতে ছয় উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ বার করে নেয় টিম ইন্ডিয়া।
ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকারে বোলারদের প্রশংসা করে ফের একবার দলের ব্যাটিংয়ে দিকেই আঙুল তোলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। তিনি বলেন, ‘একমাত্র বোলারদের জন্যই এই ম্যাচ ১৯ ওভার পর্যন্ত গড়িয়েছে। সত্যি বলতে ছয় থেকে ১৫ ওভারের সময়কালে আমরা অত্যন্ত মন্থর গতিতে রান করি। আমরা ১৫-২০ কম করি। ম্যাচের শুরুতে উইকেট নিতে পারলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা যায় বটে। কিন্তু (ভারতের হয়ে) রোহিত শুরুতেই দ্রুত গতিতে রান করে।’
রোহিত শর্মা মাত্র ১৯ বলে ৪০ রান করেন। মাঝের ওভারে রোস্টন চেজেপ ১৪ রানে দুই উইকেটের দুরন্ত স্পেল ভারতকে কিছুটা চাপে ফেললেও, শেষের দিকে সূর্যকুমার যাদব ও বেঙ্কটেশ আইয়ারের পঞ্চম উইকেটে অপরাজিত ৪৮ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে জয় এনে দেয়। ১৮ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন সূর্য, ১৩ বলে ২৪ রানে নট আউট থাকেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। সেই তুলনায় নিকোলাস পুরান (৪৩ বলে ৬১ রান) বাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ব্যাটারই ১৩০-র অধিক স্ট্রাইক রেটে রান করতে পারেননি।
ম্যাচে সাতটি ছয় মারলেও, প্রচুর ডট বল খেলে উইন্ডিজ। এই বিষয়ে মুরলি কার্তিক ম্যাচ শেষের সাক্ষাৎকারে পোলার্ডকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এই জায়গাটায় (কম ডট বল খেলা) আমরা আরও উন্নতি করতে পারি বটে। তবে এমন খেলে বড় শট মারতে গিয়ে ৯০ রানে আউট হয়ে গেলে আলোচনাটা ভিন্ন হবে। ওই নয় ওভারে ৪৬ রানটাই কাল হল। আরও ১৫-২০ রান করলে শেষের জন্য মজবুত ভিতটা তৈরি হতো। এই নিয়ে আজীবন চর্চা করা যায়। তবে আমদের এগুলো কাজে লাগাতে হবে। আশা করছি পরের ম্যাচে তা করতে সফল হব।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।