সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। দ্বিতীয় ম্যাচে ২২ রানে আউট হন বাংলার তারকা ওপেনার। এবার তৃতীয় ম্যাচে ফের সেট হয়ে উইকেট দিয়ে এলেন ঈশ্বরন। নিউজিল্যান্ড-এ দলের বিরুদ্ধে তৃতীয় বেসরকারি টেস্টের প্রথম ইনিংসে অভিমন্যু ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৮৩ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারতীয়-এ দল। তারা শুরুতেই ওপেনার প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চালের উইকেট হারিয়ে বসে। ক্যাপ্টেন পাঞ্চাল ৫৪ বলে ৫ রান করে আউট হন।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শতরান করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৮ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। গায়কোয়াড় ১১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১৪ বলে শতরানের গণ্ডি টপকে যান। শেষমেশ ১২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১২৭ বলে ১০৮ রান করে আউট হন রুতুরাজ।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রজত পতিদার ৩০ রান করে সাজঘরের পথে হাঁটা লাগান। ৫২ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খাতা খুলতে পারেননি সরফরাজ খান।
উইকেটকিপার উপেন্দ্র যাদব অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৩৪ বলে ৭৬ রান করে মাঠ ছাড়েন। শার্দুল ঠাকুর আউট হন ২২ বলে ৭ রান করে। তিনি ১টি চার মারেন। সৌরভ কুমার ৯ বলে ৯ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। তিনি ২টি বাউন্ডারি মারেন। রাহুল চাহারের অবদান ২৯ বলে ১৩ রান। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন। উমরান মালিক আউট হন ৯ বলে ৩ রান করে। মুকেশ কুমার কোনও বল খেলার সুযোগ পাননি।
ভারতীয়-এ দল ৮৬.৪ ওভারে ২৯৩ রানে তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হওয়া মাত্রই প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়। নিউজিল্যান্ড-এ দলের হয়ে ৫২ রানে ৪টি উইকেট নেন ম্যাথিউ ফিশার। এছাড়া জো ওয়াকার ও জেকব ডাফি ২টি করে উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন সিয়ান সলিয়া ও রাচিন রবীন্দ্র। সুতরাং দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই প্রথম ইনিংসে পালটা ব্যাট করতে নামবে নিউজিল্যান্ড-এ দল।