শুধু ধারাবাহিকভাবে রান করে যাওয়া বা ক্যাপ্টেন হিসেবে দলকে সাফল্যে এনে দেওয়ার জন্যই নয়, বিরাট কোহলি এই মুহূর্ত ক্রিকেট বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রে তাঁর ফিটনেসের জন্যও। নিজের ফিটনেসকে অন্য মাত্রায় তুলে নিয়ে গিয়েছেন কোহলি। যার ফল পাচ্ছেন বাইশগজের পারফর্ম্যান্সে।
স্বাভাবিকভাবেই কোহলিকে দেখে ভারতীয় দলের বাকিরাও অনুপ্রাণিত হন ফিটনেসের ক্ষেত্রে এবং সেকারণেই বর্তমান ভারতীয় দলকে অনেক ফিট ও চনমনে দেখায় মাঠে। শুধু ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছেই নয়, ফিটনেসের ক্ষেত্রে কোহলি এই মুহূর্তে আদর্শ স্থানীয় অন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের কাছেও।
বছর দশেক আগে থেকেই বিরাট নিজের ফিটনেসে বাড়তি নজর দেওয়া শুরু করেন। গত এক দশকে তাঁর পরিবর্তনের ছবিটা সবার জানা। তবে খুব সহজ ছিল না এমন কঠোর ফিটনেস ট্রেনিং ও খাদ্যাভ্যাসে বদল করা। যদিও ট্রেনিং বা ডায়েট, কোনওটিই বিরাটের সামনে কখনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি, যতটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তার মা সরোজ কোহলি। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে অনলাইন আড্ডায় ভারত অধিনায়ক জানালেন, কীভাবে মায়ের বাধা টপকে তাঁকে ফিটনেসের দিকে নজর দিতে হয়েছিল।
বিসিসিআইয়ের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ভিডিওয় কোহলি বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে উঠে আমার মা একটা কথাই বলতেন যে, আমি নাকি দুর্বল হয়ে পড়ছি। এটা সব মায়েরাই বলে থাকেন। কিছু খাস না, কত রোগা হয়ে যাচ্ছিস। আসলে (স্বাস্থ্য নিয়ে) চিন্তা করার মতো বিষয় আর খেলার এই পেশাদারিত্বের মধ্যে পার্থক্যটা মায়েরা বুঝতে চান না। ছেলেদের যদি গোলগাল না দেখায়, তাহলে মায়েরা ভাবে কিছু তো সমস্যা রয়েছে, নাহলে ছেলে বোধহয় অসুস্থ। প্রত্যেকটা সেকেন্ডে মাকে বোঝাতে হতো যে, আমি অসুস্থ নই। আমার কিছু হয়নি। আমি খেলার জন্য এগুলো করছি। তবে মাকে বোঝানো খুব কঠিন ছিল।’
কোহলি আরও বলেন, ‘সময়টা মজাদার ছিল। শুধু একটা বিষয় অদ্ভূত লাগত যে, সারা দিন পরিশ্রম করলে, আর পরের দিন উঠেই শুনতে হল, তোকে তো অসুস্থ লাগছে। শুরুর দিকে খাওয়া দাওয়া নিয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন ছিল। তবে সব মিলিয়ে সময়টা ভালো ছিল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।