২০২৪ থেকে ২০৩১ সালের একগুচ্ছ আইসিসির টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ বাছাইয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। এই আট বছরে দুটি ওয়ান ডে বিশ্বকাপ, দুটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা।
টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রক্রিয়ার শুরুতেই আইসিসির অন্দরে খুশির হাওয়া। আটটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য মোট ১৭টি দেশ এগিয়ে এসছে, যা ক্রিকেটকে বিশ্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার আইসিসির কর্মসূচির ক্ষেত্রে একটি বিরাট সুখবর।
প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বসিত আইসিসির অস্থায়ী প্রধান কার্যনির্বাহী কর্তা জেফ অ্যালেডাইস, ‘২০২৩ সালের পরে আইসিসির সাদা বলের টুর্নামেন্ট আয়োজনে আমাদের সদস্যদের প্রতিক্রিয়ায় আমরা উচ্ছ্বসিত। এই প্রক্রিয়া আমাদের আয়োজক দেশের সংখ্যা বাড়িয়ে ক্রিকেটকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেতে সাহায্য করবে। এরপর আমরা প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে এগোব যেখানে সদস্যরা আয়োজনের প্রস্তাব আরও বিস্তারে আমদের জানাবে এবং সেই অনুযায়ী আইসিসি নিজের সিদ্ধান্ত নেবে।’
২০০৯ সালের পর থেকে কোন বড় মাপের টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব না পেলেও দৌড়ে রয়েছে পাকিস্তানও। শ্রীলঙ্কা দলের বাসের ওপর জঙ্গি আক্রমণ পাকিস্তান ক্রিকেটকে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে। ১২ বছর কেটে গেলেও এখনও পড়শি দেশে সফর করতে গড়রাজি একাধিক দেশ।
সেই অর্থে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রথমবার পাকিস্তান কোন আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পায় কিনা, সেটাই দেখার। পাকিস্তানসহ ১০টি আইিসিস পূর্ণ সদস্যের পাশাপাশি আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহ দেখিয়েছে মালেশিয়া, ওমান, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীও।
বছরের শুরুতে আইসিসি আয়োজক দেশ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ওপেন বিডের পরিবর্তে অতীতের মতো বোর্ড দ্বারা নির্বাচনের প্রক্রিয়ায়ই ফিরে যায়। প্রসঙ্গত, উক্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ ও অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আয়োজকারী দেশ নির্ণয়ের প্রক্রিয়া পৃথকভাবে বছরের শেষের দিকে আয়োজিত হবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।