খেলায় হারজিত আছেই, কিন্তু নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যেভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ করল ভারত, তাতে নিশ্চিত ভাবেই চিন্তিত থাকবে টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রথম ইনিংসে জেমিসন জাদুর পর দ্বিতীয় ইনিংসে বর্ষীয়ান বোল্ট (৪ উইকেট ৩৯ রানে) ও সাউথির (৫ উইকেট ৬১ রানে) শৈলীর সামনে বেআব্রু ভারতীয় লাইন-আপ।
১৯১ রানে অল আউট হয় ভারত, জয়ের জন্য নয় রানের টার্গেট কোনও ঊইকেট না হারিয়েই তুলে নেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিখরে থাকা ভারতকে হারিয়ে নিজেদের শততম টেস্ট জয়ের রেকর্ড সৃষ্টি করল কিউয়িরা।
এদিনের খেলার শুরুতেই বোল্টের বলে এজ দিয়ে উইকেটের পিছনে আউট হন রাহানে। সাউথির অফ কাটার ধরতে না পেরে বোল্ড হন বিহারী। এরপর শুধু চালিয়ে খেলে ঋষভ পন্থ (২৫) ভারতকে ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা থেকে বাঁচান। কিন্তু নিশ্চিত হার রোখার কোনও উপায় ছিল না তাঁর কাছে। ওয়েলিংটনে তাই চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই মুড়িয়ে গেল ভারতীয় দল।
ম্যাচের শেষে কোহলি বলেন যে টসটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা যে কোনও বিভাগেই নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে যুঝতে পারেননি, সেটাও স্বীকার করে নেন তিনি। দুই ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতা হলেও এদিন বোলারদের একহাত নেন তিনি। নিউ জিল্যান্ড টেল এন্ডাররা যেভাবে প্রায় একশো রান জুড়েছিল, তাতেই ভারত ম্যাচের বাইরে চলে যায় বলে মনে করেন ভারতীয় অধিনায়ক। বোলারদের আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে বল করতে হবে বলে কোহলির অভিমত।
প্রায় নব্বইয়ের দশকে যেভাবে বিদেশে হারত ভারত, সেই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি উসকে দিয়ে পর্যদুস্ত হল কোহলি বাহিনী। অধিনায়ক সহ অন্যান্যরা দ্বিতীয় ইনিংসে শর্ট বল খেলতে চুড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন। আগামী টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোই এখন টিম ইন্ডিয়ার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।