সিকন্দর রাজা ও ব্র্যাড ইভান্স যতক্ষণ ব্যাট করছিলেন, ম্যাচে জিম্বাবোয়ের জয়ের সম্ভাবনা জিইয়ে ছিল। ইনিংসের ৪৮তম ওভারের শেষ বলে আবেশ খান ইভান্সকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন। পরে ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে শার্দুল ঠাকুর সিকন্দরের উইকেট তুলে নেওয়ার পরেই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে যায়।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচও আগাগোড়া ভারতের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কেবল সিকন্দরের ১১৫ রানের ইনিংসটিই যা মুহূর্তের জন্য সংশয় তৈরি করেছিল ভারতীয় সমর্থকদের মনে। তবে টিম ইন্ডিয়া যে এমন প্রত্যাঘাতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েনি, সেটা বোঝা যায় তাদের লড়াই দেখেই। হারার আগে হার মানার পাত্র নন লোকেশ রাহুলরা, ম্যাচের শেষে সেটা নিজেই জানিয়ে দেন ক্যাপ্টেন।
শরীরি ভাষায় কোহলিরর মতো আগ্রাসী মেজাজের নন, তাই বলে লোকেশ রাহুল যে ডাকাবুকো মানসিকতার নন, এমন অভিযোগ করা যাবে না মোটেও। বরং বরাবর নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন চোখে পড়ে লোকেশের আচরণে। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে উঠেও রাহুলের গলায় ধরা পড়ে তেমনই প্রত্যয়।
সিকন্দরদের ইনিংস কি ভয় ধরিয়েছিল? এমন প্রসঙ্গে রাহুলের সপাট জবাব, ‘আমরা অত্যন্ত পেশাদার এবং সেভাবেই ক্রিকেট খেলি। নার্ভাস ছিলাম বলব না, তবে রাজা ও ইভান্স ম্যাচটা অনেকদূর টেনে নিয়ে যায়। তবে এটা ভালো বিষয় যে, আমাদের চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। বোলাররা পরীক্ষার মুখে পড়ে।’
জিম্বাবোয়ে সিরিজ প্রসঙ্গে লোকেশ রাহুল আরও বলেন, ‘আমরা কিছু ভাবনা নিয়ে এখানে এসেছিলাম এবং এই ম্যাচগুলিতে তা ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে কয়েকজন বেশ কিছুদিন ম্যাচ খেলিনি। তাই এই ম্যাচগুলিতে মাঠে সময় কাটানো উদ্দেশ্য ছিল। আমি প্রায় দেড়শো ওভার ফিল্ডিং করেছি। শরীর অনেক ঝরঝরে মনে হচ্ছ। পরের সিরিজে এই আত্মিবশ্বাস কাজে লাগবে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।