শুভব্রত মুখার্জি
ভারতীয় ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের মানসিকতাকে ২০০০ সালের গোড়ার দিকে রাতারাতি বদলে দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরে ভারতীয় ক্রিকেটে এক নয়া যুগের সূচনা হয়েছিল। একথা একবাক্যে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা কেন সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা স্বীকার করবেন। এবার সেই দলে নতুন সংযোজন অজিদের প্রাক্তন চায়নাম্যান বোলার ব্র্যাড হগ। তিনি মনে করেন, একটা সময় ছিল যখন ২২ গজে অজিদের বিরুদ্ধে 'ভীত' থাকতেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। সৌরভ অধিনায়ক হয়ে আসার পরে অজিদের ঠিক চলমান আবহের বিরুদ্ধে গিয়ে হিসাব পালটে দেন। বদলে যায় 'ভীত' ভারতীয় ক্রিকেটারদের মানসিকতা। চোখে চোখ রেখে কথা বলতে শেখে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দল।
ব্র্যাড হগ বিশ্বাস করেন, সৌরভ ভারতীয় ক্রিকেটারদের মানসিকতা পরিবর্তন করেন। ২০০০ সালে যখন ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব হাতে নিয়েছিলেন সৌরভ, তখন ভারতীয় দল এক অন্ধকারময় সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনেন তিনি। বিপক্ষের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে শেখান তিনি। ফলস্বরূপ বিদেশের মাটিতে ভারত আগের তুলনায় অনেক বেশি ম্যাচ জিততে শুরু করে।
২০০১ সালে ঘরের মাঠে ১-০ ফলে পিছিয়ে থেকে। ফলো-অন হওয়ার পরেও যেভাবে টেস্ট সিরিজে কামব্যাক করে অজিদেরকে ঘরের মাঠে হারাতে সক্ষম হয়েছিল, ভারত তারপর থেকেই বদলে যেতে থাকে ভারতীয় ক্রিকেটের চিত্রটা। ২০০৩-০৪ সালে অজিভূমে গিয়ে সেখানেও বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে ড্র করে আসে ভারত। আর এই বিষয়ে সৌরভের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করতে ছাড়লেন না ব্র্যাড হগ। তিনি বলেন, 'অজিদেরকে কঠিন পরীক্ষার মধ্যে ফেলেছিলেন সৌরভ। আপনার যদি মনে থাকে ওই টেস্ট ম্যাচটা যেখানে টসের সময় স্টিভ ওয়াকে সৌরভের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সৌরভ উপলব্ধি করেছিলেন, এই ঘটনা অজিদেরকে মানসিকভাবে ধাক্কা দিয়েছিল। আমি মনে করি, এর আগে ভারতীয় ক্রিকেটাররা অজিদের বিরুদ্ধে ভীত থাকতেন। সৌরভ এসে সেই মানসিকতা বদলে দেন। এই ঘটনাগুলো অস্ট্রেলিয়ানদের মানসিক দিক থেকে উল্টোভাবে আঘাত করত।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।