শুভব্রত মুখার্জি: অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন অর্থাৎ এআইএফএফ জেনারেল সেক্রেটারি কুশল দাসের বিরুদ্ধে ফেডারেশনের মহিলা স্টাফদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ খারিজ হল। তার বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন মিনার্ভা পঞ্জাবের প্রাক্তন মালিক রঞ্জিত বাজাজ। কুশল দাসের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিলেন ইন্টিগ্রিটি অফিসার। কুশল দাসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে অসত্য এবং কাল্পনিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
চলতি সপ্তাহে সোমবারেই মিনার্ভার প্রাক্তন মালিক রঞ্জিত বাজাজ, কুশল দাসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন। তার অভিযোগ কুশল দাস তার ফেডারেশনের মহিলা কর্মীদের বিরুদ্ধে সুযোগ নিয়ে শ্লীলতাহানি করেছেন। এআইএফএফের ইন্টিগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজ তদন্ত চালানোর পর জানিয়েছেন কুশল দাস সম্পূর্ণ নির্দোষ। ফেডারেশনের ইন্টারন্যাল কমিটির প্রিসাইডিং অফিসারদের তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন জাভেদ সিরাজ। এআইএফএফের এজিএস (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল বি এম আর মেহেতাকে ও তদন্তের স্বার্থে একগুচ্ছ প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছিলেন সিরাজ।
গোপন যে রিপোর্টটি সিরাজ জমা করেছেন তাতে তিনি জানিয়েছেন তদন্ত চলাকালীন কুশল দাসের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ সম্বন্ধে বলতে গিয়ে সকলেই জানিয়েছেন তারা কেউ কখনও এমন অভিযোগ পাননি অতীতে। ২০১১-১৫ পর্যন্ত কাজ করেছেন কর্নেল মেহেতা। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তার সময়কালে কখনও তিনি এমন অভিযোগ পাননি। তদন্তের খাতিরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সিনিয়র ম্যানেজার মিসেস ইন্দু চৌধুরী, আই লিগ সিইও সুনন্দ ধর তারা প্রত্যেকেই জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগের ফাইনালের পর বেঙ্গালুরুর চান্সেরি হোটেলের কাছেই এক রেস্তোরাঁয় হয়া পার্টিতে তারা এমন কোন অভিযোগ পাননি বা এমন কোনও ঘটনাও দেখেননি। সেই সময় ইন্টারাল কমিটির প্রধান শান্তা গোপীনাথও কখনও এমন অভিযোগ কুশল দাসের বিরুদ্ধে পাননি বলেই জানিয়েছেন। ফলে ১৪/০২/২০২০ সালের যে ঘটনা বাজাজ উল্লেখ করেছেন তার সাপেক্ষে তদন্ত চালিয়ে ইন্টিগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজ, কুশল দাসকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।