শুভব্রত মুখার্জি
শারজার পিচে বরাবর আইপিএলের ম্যাচগুলো হয়েছে হাইস্কোরিং । তবে কালকের ম্যাচে যে পিচে কেকেআর বনাম আরসিবি-র ম্যাচ হল তা ছিল একেবারেই নতুন পিচ। যথেষ্ট স্লো ছিল উইকেট। কিছুটা ডবল পেসড ও ছিল কালকের উইকেট। ফলে স্ট্রোক প্লে মোটেও সহজ ছিল না।
নাইটরা ব্যাট করার সময়ই তা বারবার বোঝা গিয়েছে। গিল ছাড়া প্রত্যেক নাইট ব্যাটসম্যান এই উইকেটে রীতিমতো স্ট্রাগল করেছেন। শুধু নাইটরাই নন ব্যাঙ্গালোরের অন্য ক্রিকেটাররা যখন ব্যাট করছিলেন তখনও মনে হচ্ছিল এই পিচে ব্যাট করা কতটা কঠিন। বল পড়ে অত্যন্ত ধীরগতিতে ব্যাটে আসছিল। মাঝে মাঝে অতিরিক্ত বাউন্সও হচ্ছিল বল। বিশ্বের একাধিক দাপুটে ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি, অ্যারন ফিঞ্চদের ও এই উইকেটে খেলতে রীতিমতো সমস্যা হচ্ছিল। তবে বিরাট কোহলির ভাষায় তিনি 'সুপারহিউম্যান' । তিনি এবি ডি’ভিলিয়ার্স । তিনি এই শারজার পিচেই যে খেলাটা তিনি খেললেন, সেটা যে একমাত্র তাঁর পক্ষেই সম্ভব ছিল তা নির্দ্বিধায় মেনে নিলেন দুই দলের অধিনায়ক কার্তিক ও কোহলি।
ম্যাচ শেষে তাই এবিডি-র ৩৩ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত ইনিংস নিয়ে ডি’ভিলিয়ার্সের উপলব্ধি তিনি নাকি নিজেও নিজের খেলায় চমকে গিয়েছেন। তিনি জানান 'এই পারফরম্যান্সে আমি খুব খুশি। আগের ম্যাচে শূন্য করেছিলাম। খারাপ লাগছিল। ভালো লাগছে ভালো খেলেছি বলে। আমি নিজের খেলায় নিজেই চমকে গিয়েছি। ১৯৫ রানের টার্গেট দিতে পেরে অবাক আমি ও অবাক হয়েছি।'
৩৩ বলে ৭৩ রানের এই ইনিংস খেলার মধ্যে দিয়ে একাধিক রেকর্ডও গড়েছেন এবিডি। এই নিয়ে টি-২০তে ২৩ বা তার কম বলে ৬ নম্বর অর্ধশতরান করলেন এবিডি। এইভাবে হাফ সেঞ্চুরি করার তালিকায় যুগ্মভাবে প্রথম স্থানে উঠে এলেন তিনি। এবিডি আইপিএলে নিজের ২২ তম ম্যাচ সেরার পুরস্কার ও জেতেন। যা আইপিএলের ইতিহাসে নজির।বিরাট এবং এবির মধ্যে যে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ হল তা ছিল এই জুটির দশম শতরানের পার্টনারশিপ। যা আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।