করোনার জেরে সরকারি লকডাউন ৩ মে পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছে আইপিএল ২০২০। লকডাউন উঠলেও অবিলম্বে টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব নয় বিসিসিআইয়ের পক্ষে। সুতরাং হয় আইপিএল পিছিয়ে দিতে হবে, নতুবা বাতিল ঘোষণা করতে হবে এবছরের মতো।
টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়া হলে সংঘাত বাঁধবে আন্তর্জাতিক সূচির সঙ্গে। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম আগে থেকে ঠিক করা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসূচির মাঝে সংক্ষিপ্ত অবসর খুঁজে আইপিএল আয়োজন করতে হলেও বিস্তর সমস্যার মুখে পড়তে হবে ভারতীয় বোর্ডকে। তখন বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া সহজ হবে না।
এই অবস্থায় বোর্ডের সামনে যে বিকল্পগুলি ঘোরাফেরা করছে, দেখে নেওয়া যাক।
প্রথমত, ভারতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রয়োজনে ফাঁকা গ্যালারিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন। এক্ষেত্রে বিদেশি ক্রিকেটারদের না পাওয়া গেলে শুধুমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে আইপিএল আয়োজন।
দ্বিতীয়ত, এশিয়া কাপ বা আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট পিছিয়ে গেলে সেই অবসরে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আইপিএল আয়োজন।
তৃতীয়ত, তুলনায় নিরাপদ কোনও বিদেশি কেন্দ্রে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যেই প্রস্তাব দিয়েছে তাদের দেশে আইপিএল আয়োজনের।
শেষ রাস্তা, এবছরের মতো আইপিএল পরিত্যক্ত ঘোষণা করা।
টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হলে সবার আগে নজর দিতে হবে ক্রিকেটার ও সংশ্লিষ্ট সকলের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়াও বাঞ্ছনীয়।
নিতান্ত যদি টুর্নামেন্ট বাতিল হয় তবে ভারতীয় বোর্ডকে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করতে হবে। এবছর আইপিএল থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আয় হওয়ার কথা ছিল প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা। টুর্নামেন্ট না হলে মুনাফা তো সম্ভব নয়ই, উলটে স্পনসরশিপ, টেলিভিশন স্বত্ব, অন্যান্য মিডিয়া রাইটস, ফ্র্যাঞ্চইজিদের লভ্যাংশ, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক, অভ্যর্থনা ও যাতায়াতের মতো সার্বিক খরচ মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে। বিসিসিআইয়ের কাছে যা বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হবে সন্দেহ নেই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।