গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হওয়ার পর থেকে যেভাবে সারা দেশে চিন বিরোধী হওয়া বইতে শুরু করে, প্রাথমিকভাবে তা পৌঁছে যায় বিসিসিআইয়ের অন্দরমহলেও। বিশেষ করে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর-সহ চিনা সংস্থাগুলির সঙ্গে বিসিসিআইয়ের একাধিক স্পনসরশিপ চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। যদিও বাস্তবিক ক্ষেত্রে তার কোনও প্রভাবই চোখে পড়ল না।
আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, তা হল চিনা সংস্থাগুলির সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি। বৈঠকের শেষে বিসিসিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত আইপিএলের সমস্ত স্পনসরের সঙ্গে বোর্ডের সম্পর্ক বজায় থাকছে। অর্থাৎ, আসন্ন মরশুমেও আইপিএলের টাইটেল স্পনসর থাকছে মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক চিনা সংস্থা ভিভো।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ তথা ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিতে কোন কোন চিনা সংস্থা যুক্ত রয়েছে।
ভিভো:- আইপিএলের টাইটেল স্পনসর এই চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা। ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের জন্য বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় তারা। বার্ষিক ৪৪০ কোটি টাকা হিসাবে পাঁচ বছরের জন্য মোট ২১৯৯ কোটি টাকার মূল্যে ভিভো কিনে নেয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের টাইটেল স্পনসরশিপ।
পেটিএম:- এই অনলাইন পেমেন্ট সংস্থা আইপিএলের অফিসিয়াল আম্পায়ার পার্টনার। ভারতের মাটিতে পাঁচ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বত্বও কেনা রয়েছে পেটিএমের। তার জন্য তারা বিসিসিআইকে ৩২৬ কোটি টাকা দিতে চুক্তিবদ্ধ। চিনা সংস্থা আলিবাবা বিনিয়োগ করে পেটিএমে।
সুইগি:- আইপিএলের অ্যসোসিয়েট স্পনসর সুইগিতে বিনিয়োগ করে চিনের ইন্টারনেট সংস্থা টেনসেন্ট।
ড্রিম ইলেভেন:- আইপিএলের অনলাইন ফ্যান্টাসি লিগ পার্টনার ড্রিম ইলেভেনেও বিনিয়োগ করে চিনা সংস্থা টেনসেন্ট।
বাইজু'স:- জাতীয় দলের অফিসিয়াল স্পনসর বাইজু'স-এও অর্থের যোগান দেয় টেনসেন্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।