করোনা মহামারীর জেরে ইতিমধ্যেই এক দফায় পিছিয়ে গিয়েছে চলতি মরশুমের আইপিএল। ২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ১৩তম সংস্করণ। পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী তা ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা। তবে বিসিসিআই সূত্রে যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ১৪ এপ্রিল লকডাউন উঠলেও পরের দিন থেকে আইপিএল শুরু হওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়।
প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এই পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট শুরুর কথা ভাবাই যায় না। ১৫ এপ্রিল থেকে আইপিএল শুরু করতে হলে প্রস্তুতি নিতে হতো অনেক আগে থেকেই। লকডাউন চলায় তা সম্ভব নয়।
শুক্লা বলেন, 'আইপিএলের কোনও প্রস্তুতি চোখে পড়ছে না। এই মুহূর্তে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালানো এবং মানুষের জীবন বাঁচানো। সবকিছুই সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। সরকার যা বলবে, সেই মতোই চলতে হবে আমাদের।'
প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'শোনা যাচ্ছে লকডাউন বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে যদি আপনি আশা করেন যে, ১৫ এপ্রিল আইপিএল শুরু হবে, তবে সেটা কোনওভাবেই সম্ভব নয়।'
শুক্লার আশঙ্কার কথা বাদ দিলেও বাস্তবিকই পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী আইপিএল শুরু করা যে সম্ভব নয়, সেটা বুঝতে বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশিদের সমস্ত ভিসা বাতিল করেছে ভারত সরকার। সুতরাং বিদেশি ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলতে তড়িঘড়ি ভারতে এসে পৌঁছবেন, এমনটা ভাবাও বোকামি।
তাছাড়া শুধু আইপিএল আয়োজনের জন্য বোর্ডের প্রস্তুতি প্রয়োজন এমনটাই নয়, বরং ফ্র্যাঞ্চইজি ও ক্রিকেটারদের মাঠে নামার জন্য মানসিক প্রস্তুতির দরকার হয়। বিশষে করে লকডাউনে বাড়িতে থাকা অবস্থায় ক্রিকেটাররা কতটা মাঠে নামার জন্য তৈরি, তা নিয়েও সংশয় থেক যায়।