পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল থেকে আইপিএল শুরু হওয়া কার্যত অসম্ভব। লকডাউন প্রত্যাহার করা হোক বা না-হোক, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ আয়োজন করার কথা ভাবা বোকামি। এই অবস্থায় বিসিসিআইয়ের তরফে দু'টি রাস্তা খোলা রয়েছে। হয় এবছরের মতো টুর্নামেন্ট বাতিল ঘোষণা করা। অথবা নতুন উইন্ডো খুঁজে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়া।
আইপিএল পরিত্যক্ত হলে যে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ভারতীয় বোর্ডকে, তার প্রভাব পড়বে অনুমোদিত রাজ্য সংস্থাগুলি ও ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত লভ্যাংশে। সুতরাং সমাধানসূত্র একটাই, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বছরের পরের দিকে আইপিএল আয়োজন।
বোর্ড সূত্রে আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল যে, অগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে একটা উইন্ডোয় আইপিএল আয়োজনের। একাধিক বিদেশি ক্রিকেটারও সেই পরামর্শই দিয়েছেন বিসিসিআইকে। এখন সমস্যা হল বিসিসিআই যদি সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আইপিএল আয়োজন করে, তবে অক্টোবরের টি-২০ বিশ্বকাপে তার প্রভাব পড়তে পারে। ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে নতুন করে সংঘাত বাঁধতে পারে আইসিসির।
বিসিসিআইয়ের কাছে অবশ্য এই মুহূর্তে টি-২০ বিশ্বকাপের থেকও প্রাধান্য পাচ্ছে আইপিএল। কারণটাও স্পষ্ট। বার্ষিক লভ্যাংশ হিসেবে আইসিসির কাছ থেকে যে পরিমাণ অর্থ ভারতীয় বোর্ড পায়, আইপিএল থেকে তাদের আয় বহুলাংশে বেশি।
বিসিসিআই বছরে ৩৮০ কোটি টাকা পায় আইসিসির কাছ থেকে। আইপিএল থেকে ভারতীয় বোর্ডের আয় বছরে ২৫০০ কোটি। ২০২০-২১ মরশুমে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন বাবদ আরও ৯৫২ কোটি টাকা আয় হওয়ার কথা বিসিসিআইয়ের।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের প্রসঙ্গ বাদ দিলে শুধু মাত্র আইপিএলের জন্যই বিস্তর ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ভারতীয় বোর্ডকে, যা লভ্যাংশ বণ্টনের শৃঙ্খলটাকেই ভেঙে দেবে। তাছাড়া এক বছর টুর্নামেন্ট আয়োজিত না হলে টিভি স্বত্ব ও স্পনসরশিপ চুক্তি বাড়তি এক বছর টেনে নিয়ে যেতে হবে বিসিসিআইকে। সুতরাং আইপিএল আয়োজন নিয়ে পুনরায় বিসিসিআই বনাম আইসিসি সংঘাতের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।