চলতি মরশুমের আইপিএল এখনও সরকারিভাবে পরিত্যক্ত হয়নি। যদিও সেই সম্ভাবনাই প্রবল। পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী ১৫ এপ্রিল থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ শুরু হওয়া কার্যত অসম্ভব। অনির্দিষ্টকালের জন্য টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়াও সম্ভব নয় যেহেতু আইসিসি'র ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসূচি প্রস্তুত রয়েছে আগে থেকেই।
এই পরিস্থিতিতে বিসিসিআই অগস্ট-সেপ্টেম্বরের নতুন উইন্ডোয় আইপিএল আয়োজন করতে চাইছে। শেষমেশ সেই পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।
এবছরের মতো আইপিএল যদি পরিত্যক্ত হয়, তবে বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্ট বাবদ এক টাকাও পাবেন না কোনও ক্রিকেটার।
আইপিএলের পারিশ্রমিক নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের স্পষ্ট নির্দেশিক রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্ট শুরুর এক সপ্তাহ আগে ক্রিকেটারদের চুক্তির অর্থের ১৫ শতাংশ দিতে হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। টুর্নামেন্ট চলাকালীন আরও ৬৫ শতাংশ অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ২০ শতাংশ টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর নির্দিষ্ট একটা সময়সীমার মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে ঘোষিত সূচির অনেক আগেই স্থগিত হয়ে গিয়েছে আইপিএল। সুতরাং কোনও ক্রিকেটারই এখনও পর্যন্ত টাকা পায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে। বলা বাহুল্য, আইপিএল পরিত্যক্ত হলে ক্রিকেটারদের টাকা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
করোনার জেরে আইপিএল বন্ধ হলে বীমার টাকাও পাবে না বিসিসিআই। কেননা, মহামারী ও সরকারি লকডাউন বীমার আওতায় পড়বে না। ফলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ভারতীয় বোর্ডকে। তার প্রভাব পড়তে পারে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকেও।
বিসিসিআই এখনও পর্যন্ত ক্রিকেটারদের মাইনে কমানোর কথা না ভাবলেও প্রস্তাবিত বেতন বৃদ্ধি আটকে যেতে পারে এবছরের মতো। নবগঠিত ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অশোক মালহোত্রা এপ্রসঙ্গে বলেন, 'বিসিসিসআই টাকা পায় ক্রিকেট থেকে। সেই টাকাই ক্রিকেটারদের দেওয়া হয়। খেলাই না হলে কোথা থেকে টাকা আসবে? আশা করি পরিস্থিতিটা বোঝে ক্রিকেটাররাও।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।