DC vs KKR: কাজে এল না মর্গ্যান-ত্রিপাঠীর মরিয়া চেষ্টা, ১৮ রানে জিতল দিল্লি
Updated: 04 Oct 2020, 12:01 AM ISTটুর্নামেন্টে এই প্রথম শারজায় খেলছে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস।
টুর্নামেন্টে এই প্রথম শারজায় খেলছে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস।
বাজে ডেথ বোলিংয়ের খেসারত দিলে এল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সঙ্গে মাঝের ওভারে ঠ'বলে তিন উইকেটের পতন। দুইয়ের ধাক্কায় কাজে এল না ইয়ন মর্গ্যান ও রাহুল ত্রিপাঠীর মরিয়া লড়াই। শেষপর্যন্ত ১৮ রানে জিতল দিল্লি ক্যাপিটালস।
কী হল ম্যাচে - পড়ে নিন ম্যাচ রিপোর্ট
ম্যাচের সেরা হলেন শ্রেয়স আইয়ার।
বাজে ডেথ বোলিংয়ের খেসারত দিলে এল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সঙ্গে মাঝের ওভারে ঠ'বলে তিন উইকেটের পতন। দুইয়ের ধাক্কায় কাজে এল না ইয়ন মর্গ্যান ও রাহুল ত্রিপাঠীর মরিয়া লড়াই। শেষপর্যন্ত ১৮ রানে জিতল দিল্লি ক্যাপিটালস।
নিখুঁত ইয়র্কারে রাহুল ত্রিপাঠী স্টাম্প নড়িয়ে দিলেন মার্কাস স্টইনিস। ১৬ বলে ৩৬ রান করেছিলেন তিনি। চার বলে চাই ২২ রান।
শেষ ওভারে চাই ২৬ রান। স্ট্রাইকে আছেন রাহুল ত্রিপাঠী।
১৮ বলে ৪৪ করে আউট হয়ে গেলেন ইয়ন মর্গ্যান। নটর্জের বলে খুব ভালো ভাবে মারতে পারেননি। ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ক্যাচ ধরলেন শিমরন হেটমায়ার। কলকাতার স্কোর ১৮.৩ ওভারে সাত উইকেটে ২০০। কেকেআরের কফিনে শেষ পেরেক?
১৮ তম ওভারে উঠল ২৩ রান। দু'ওভারে কেকেআরের চাই ৩১ রান।
আগের ওভারে উঠেছিল ২৪ রান। ১৮ তম ওভারের প্রথম তিন বলে কাগিসো রাবাডাকে তিন ছক্কা মারলেন ইয়ন মর্গ্যান। ১৭.৪ ওভারে কেকেআরের স্কোর ৬ উইকেটে ১৯৪। মর্গ্যান অপরাজিত ১৬ বলে ৫৩ রানে। ১০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত রাহুল ত্রিপাঠীর।
১৭ তম ওভারে ২৪ রান নিল কেকেআর। মার্কাস স্টইনিসের ওভারে তিনটি ছক্কা ও একটি চার মারলেন রাহুল ত্রিপাঠী। কেকেআরের স্কোর ৬ উইকেটে ১৭৫।
১৬ তম ওভারে উঠল ১৪ রান। কিন্তু রান রেটের ঢের কম। ১৬ ওভারে কেকেআরের স্কোর ৬ উইকেটে ১৫১।
ধস নামল কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইনিংসে। ছ'বলে তিন উইকেট পড়ল নাইটেদর। এবার আউট হলেন প্যাট কামিন্স। শনিবার যেন সব ক্যাচ ধরে নিচ্ছেন দিল্লির খেলোয়াড়রা। ১৩.৩ ওভারে কেকেআরের স্কোর ছ'উইকেটে ১২২ রান।
কম গতির বলে হর্ষল প্যাটেলের আউট হয়ে গেলেন দীনেশ কার্তিক। পরপর দু'বলে দু'উইকেট হারাল কলকাতা। আট বলে ছ'রান করেছেন কার্তিক। হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে হর্ষল প্যাটেল। ১২.৫ ওভারে কলকাতার স্কোর পাঁচ উইকেটে ১১৭।
অর্ধশতরান পূরণের কিছুক্ষণ পরই আউট হলেন নীতিশ রানা। চার উইকেট পড়ল কলকাতার। ১২.৩ ওভারে হর্ষল প্যাটেলের বলে ছক্কা মারার পর আরও একটি বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর সফল হলেন না। ৩৫ বলে ৫৮ রান করলেন তিনি। ১২.৫ ওভারে কলকাতার স্কোর চার উইকেটে ১১৭।
পুরোপুরি আধিপত্য বজায় রেখেছেন বলা যাবে না। তবে বড় রান তাড়া করতে নেমে অর্ধশতরান পূরণ করলেন নীতিশ রানা। ১১.৫ ওভারে এক রান নিয়ে আইপিএলের নবম অর্ধশতরান করলেন তিনি। ৩২ বলে সেই রান করেছেন।
আন্দ্রে রাসেল আসতেই দলের সেরা বোলারের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন। সম্ভবত সে কারণেই শুরুতে এক ওভারের বেশি কাগিসো রাবাডাকে বল দেননি শ্রেয়স আইয়ার। প্রথম চার বলে রাসেল একটি চার ও একটি ছক্কা মারলেও শেষ হাসি হাসলেন রাবাডা। পুল শট মারা মতো খুব ভালো জায়গায় তাড়াহুড়ো করে শট মারেন রাসেল। অনেকটা দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ নেন নর্টজে। বড় ধাক্কা কলকাতার। কেকেআরের স্কোর ৯.৫ ওভারে তিন উইকেটে ৯৪।
চার নম্বরে এলেন আন্দ্রে রাসেল। বল হাতে ভালোই কেটেছে তাঁর। এবার ব্যাট হাতে বড় স্কোরের আশায় কেকেআর ভক্তরা।
সপ্তম ওভারে এসেছিল দু'রান। অষ্টম ওভারে এসেছিল ১১ রান। কিন্তু সবমিলিয়ে রান রেট ক্রমশ বাড়ছিল। আর সেই শৃঙ্খল ভাঙার জন্য বড় শট মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অমিত মিশ্রের বলে স্লগ-সুইপ মারতে গিয়ে ব্যাটের উপরে বল শূন্যে উঠে যায়। কিন্তু ঋষভ পন্থ পর্যন্ত গিয়েছিল। সহজ ক্যাচ ধরলেন পন্থ। ৮.১ ওভারে কেকেআরের স্কোর দু'উইকেটে ৭২ রান।
ছ'ওভার শেষে দিল্লির স্কোর ছিল এক উইকেটে ৫৭। তার থেকে সামান্য এগিয়ে কলকাতা। তাদের স্কোর এক উইকেটে ৫৯। শুভমন গিল করেছেন ১৬ বলে ২৩ রান। নীতিশ রানা করেছেন ১৫ বলে ২৭ রান।
চার ওভারে কলকাতার স্কোর এক উইকেটে ৩৯ রান। ক্রিজে আছেন শুভমন গিল ( ১১ বলে ১৫) এবং নীতিশ রানা (৮ বলে ১৬ রান।)
দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে গেলেন সুনীল নারিন। ১.২ ওভারে কেকেআরের স্কো এক উইকেটে আট রান।
বড় রান তাড়া করতে নেমে প্রথম রানে মাত্র চার রান তুলল কেকেআর। শুরুতেই কেকেআরের উপর চাপ বাড়াল দিল্লি।
সচিনের প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গেলন শ্রেয়স-পৃথ্বীরা - পড়ুন এখানে
রান তাড়া করতে শুরু করল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
যদি কলকাতা নাইট রাইডার্স জেতে, তাহলে সর্বাধিক রান তাড়া করে জয়ের নজির গড়বেন নাইটরা। সেই কাজটা কি পারবেন তাঁরা? দিনকয়েক আগেই এই মাঠে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ২২৬ রান করেছিল রাজস্থান।
একমাত্র ভালো করেছেন আন্দ্রে রাসেল। চার ওভারে ২৯ রান দিয়ে দু'উইকেট নিয়েছেন তিনি। বাকি বোলাররা
একেবারে অধিনায়ক সুলভ ইনিংস খেললেন শ্রেয়স আইয়ার। ৩৮ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি।
শেষ পাঁচ ওভারে ৭৭ রান তুলল দিল্লি। তার সৌজন্যে ২০ ওভারে দিল্লির স্কোর দাঁড়াল চার উইকেটে ২২৮ রান। তাও শেষ ওভারে দারুণ বল করেন আন্দ্রে রাসেল। মাত্র সাত রান দেন। একটি উইকেট-সহ চারটি ডট বল করেন।
১৮ ওভারে দিল্লির স্কোর তিন উইকেটে ২০১। আন্দ্রে রাসেলের তিন বলে ১৪ রান নেওয়ার পর ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হলেন ঋষভ পন্থ। ১৮ তম ওভারে এল ১৫ রান। পন্থ করলেন ১৭ বলে ৩৮ রান। হেলিকপ্টার শটে আর ছক্কা হল না।
এমনিতেই ছোটো মাঠ শারজার। তার মধ্যে জঘন্য বোলিং কলকাতা নাইট রাইডার্সের। লাইন-লেংথে ঠিক হচ্ছে না। মারার জায়গায় বল করছেন। তার সৌজন্য ১৭.৪ ওভারেই ২০০ রানের গণ্ডি টপকে গেল দিল্লি।
দিল্লির বিরুদ্ধে একেবারে ছন্দে থাকলেন না প্যাট কামিন্স। চার ওভারে দিলেন ৪৯ রান। পাননি কোনও উইকেট। ১৭ ওভারে দিল্লির স্কোর দু'উইকেটে ১৮৬।
অর্ধশতরান পূরণ করলেন শ্রেয়স আইয়ার। এটি তাঁর আইপিএল কেরিয়ারের দ্রুততম অর্ধশতরান। মাত্র ২৬ বলে ৫০ করেন দিল্লি অধিনায়ক।
১৫ ওভারে দিল্লির স্কোর দু'উইকেটে ১৫১ রান। অর্থাৎ ২০০ রানের গণ্ডি পার করার প্রবল সম্ভাবনা আছে, যদি না নাইট বোলাররা শেষ পাঁচ ওভার কিছু না করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বড় রানের লক্ষ্য নিয়ে নামতে হবে কেকেআর ব্যাটসম্যানদের।
কমলেশ নাগরকোটিকে এতক্ষণ শাসন করছিলেন পৃথ্বী শ। শেষ হাসি হাসলেন কেকেআর পেসার। ব্যাক অফ লেংথের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং-অনে শুভমন গিলের হাতে জমা পড়লেন। তার আগে ৪১ বলে ৬৬ রান করেছেন পৃথ্বী। অর্থাৎ ছোটো করে বলতে গেলেন, অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের দুই প্রাক্তন সতীর্থের যুগলবন্দিতে ফিরলেন পৃথ্বী। ১২.৪ ওভারে দিল্লির স্কোর দু'উইকেটে ১২২ রান।
প্রাক্তন সতীর্থ কমলেশ নাগরকোটিকে ছক্কা মেরে ৫০ পূরণ করলেন পৃথ্বী শ। আইপিএলে এটি ষষ্ঠ অর্ধশতরান তাঁর।
অর্ধেক ইনিংস পার দিল্লির। ১০ ওভারে স্কোর এক উইকেটে ৮৯ রান। ৩৩ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত পৃথ্বী। শ্রেয়স করেছেন ১১ বলে ১৭ রান।
শিখর ধাওয়ান আউটের পর ১০ বলে কোনও বাউন্ডারি আসেনি। ৭.৪ তম ওভারে শিবম মাভির বলে ছক্কা সেই সময় কাটালেন পৃথ্বী। ৮ ওভারে দিল্লির স্কোর এই উইকেটে ৭৫ রান। ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত পৃথ্বী।
অবশেষে ভাঙল দিল্লির ওপেনিং জুটি। সুইপে জোড়া ছক্কা মেরেছিলেন শিখর ধাওয়ান। কিন্তু এবার আর সেই লক্ষ্য পূরণ হল না। বরুণ চক্রবর্তীর বল শিখরের ব্যাটের উপর দিকে লেগে উপরে উঠে গিয়েছিল। স্কোয়ার লেগে দারুণ ক্যাচ ধরলেন ইয়ন মর্গ্যান। বল হাওয়ার মধ্যে গতিপথ পালটালেও শেষপর্যন্ত ধরে নেন ইংরেজ অধিনায়ক। ৫.৫ ওভারে দিল্লির স্কোর এক উইকেটে ৫৬।
শারজার ছোটো মাঠে নেহাত কম রান ওঠেনি এবার। কলকাতার বিরুদ্ধেও সেই বড় রানের লক্ষ্যেই শুরু করেছে দিল্লি। ৫ ওভারে তাদের স্কোর বিনা উইকেটে ৫১ রান। সুনীল নারিনের প্রথম ওভারেই উঠল ১৫ রান।
শর্ট বলে পৃথ্বী শ'কে আউটের চেষ্টা প্যাট কামিন্সের। প্রায় কাজেও এসে গিয়েছিল সেই পরিকল্পনা। তবে পৃথ্বীও কম যান না। ডিপ স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে কামিন্সকে ছক্কা মারলেন। তিন ওভারে দিল্লির স্কোর বিনা উইকেটে ২৯।
প্রথম ওভারে আট রান তুলল দিল্লি। প্যাট কামিন্সের চতুর্থ বলে মিড-অন দিয়ে চার মারেন পৃথ্বী শ।
শুরু লড়াই। বল করছেন প্যাট কামিন্স। ব্যাট হাতে পৃথ্বী শ এবং শিখর ধাওয়ান।
বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলাচ্ছে নাইট রাইডার্স, ফিরলেন অশ্বিন, বাদ ইশান্ত – বিস্তারিত পড়ুন এখানে
জোড়া পরিবর্তন দিল্লি ক্যাপিটালসের। দলে এলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও হরশল প্যাটেল।। বাদ পড়লেন ইশান্ত শর্মা ও অক্ষর প্যাটেল। প্রথম একাদশ : পৃথ্বী শ, শিখর ধাওয়ান, শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ, শিমরন হেটমায়ার, মার্কাস স্টইনিস, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কাাগিসো রাবাডা, আন্দ্রে নর্টজে, অমিত মিশ্র। এবং হরশল প্যাটেল।
দলে এক পরিবর্তন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। বাদ পড়লেন কুলদীপ যাদব। কেকেআরের প্রথম একাদশ : শুভমন গিল, সুনীল নারিন, নীতিশ রানা, দীনেশ কার্তিক, ইয়ন মর্গ্যান, আন্দ্রে রাসেল, রাহুল ত্রিপাঠী, প্যাট কামিন্স, কমলেশ নাগরকোটি, শিবম মাভি এবং বরুণ চক্রবর্তী।
শারজায় টসে জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন দীনেশ কার্তিক।