দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রথম ১০ ওভারেই সম্ভবত ম্যাচের ভবিষ্যত বুঝে গিয়েছিলেন। অধিনায়কত্ব দেখে মনে হচ্ছিল, রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করতে চাইছেন। ম্যাচে শেষে সেই ইঙ্গিতই দিলেন বিরাট কোহলি। জানালেন, প্লে-অফে ওঠার বিভিন্ন হিসেব-নিকেশ বিবেচনা করছিলেন।
সোমবার আবুধাবিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৫২ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সেই অঙ্ক অনুযায়ী, দিল্লি ক্যাপিটালস যদি ১৩৪ রানের কম করত, তাহলে শ্রেয়স আইয়ারদের নেট রানরেট কেকেআরের নীচে চলে যেত। একইভাবে দিল্লি যদি ১৭.৩ ওভারের মধ্যে জিতে যেত, তাহলে কেকেআরের থেকে বিরাট কোহলিদের নেট রানরেট কমে যেত। তার ফলে পরাজিত দলকে আগামিকালের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হত।
(আইপিএলের যাবতীয় আপডেট, লাইভ স্কোর দেখুন এখানে)
সেই অবস্থায় রানের পুঁজি রক্ষা করতে নেমে প্রথম ছ'ওভারে দিল্লি যেভাবে শুরু করেছিল, তাতে মনে হয়েছিল যে ব্যাঙ্গালোরের প্লে-অফের ভাগ্য ঝুলে থাকবে। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে ম্যাচ জয়ের জন্য তেমন আক্রমণাত্মক রাস্তায় হাঁটেননি বিরাট। বরং খেলার গতি মন্থর করে দেন। তার ফলে ম্যাচ হারলেও প্লে-অফে উঠে গিয়েছে ব্যাঙ্গালোর।
গ্রুপ পর্যায়ের নিজেদের শেষ ম্যাচের পর বিরাট বলেন, ‘এটা মিশ্র অনুভূতি। আমি টসের সময় বলছিলাম যে আমরা চেষ্টা করব এবং নিজেদের পক্ষে ফলাফল নিয়ে আসার চেষ্টা থাকবে। সম্ভবত ১১ তম ওভারে দলের ম্যানেজমেন্টের তরফে ১৭.৩ ওভারের গণ্ডির বিষয়ে জানানো হয়। ম্যাচ আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে গেলেও মাঝের ওভারগুলিতে আমরা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি।’
প্লে-অফে উঠলেও বিরাটদের দুশ্চিন্তা দূর হচ্ছে না। গ্রুপ লিগের শেষ চার ম্যাচে একবারও জয়ের মুখ দেখেননি তাঁরা। সেক্ষেত্রে অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মাঝের ওভারে ব্যাটিং। সেই সময় ব্যাঙ্গালোরের রানরেট কমে যাচ্ছে। তার ফলে চাপ বাড়ছে এবি ডে'ভিলিয়ার্সদের উপর। রান বেশি উঠছে না। সোমবার দুবাইয়েও একই সমস্যায় ভুগেছে ব্যাঙ্গালোর। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিরাট বলেন, ‘যোগ্যতা অর্জনের আগে এটা বলতে পারেন। আমরা হয়তো কিছুটা খোলসের মধ্যে ছিলাম।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।