ঠিক যেভাবে ছোটখাটো পুঁজি নিয়ে দুবাইয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। একইভাবে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সুবাদে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে উত্তেজক জয় ছিনিয়ে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।
এক সময় স্টিভ স্মিথরা অনায়াসে ম্যাচ জিতে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছিল। সেখানে থেকে দিল্লি ক্রিমশ ম্যাচে ফেরে রাবাদা, অ্যানরিচদের অনবদ্য ডেথ বোলিংয়ের সৌজন্যে।
(আইপিএলের লাইভ আপডেট ও লাইভ স্কোর জানতে ক্লিক করুন এখানে।)
শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের দরকার ছিল ২২ রান। নবাগত তুষার দেশপান্ডের হাতে বল তুলে দেন শ্রেয়সের বদলে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা শিখর ধাওয়ান। দেশপান্ডে হতাশ করেননি দলকে। শেষ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচ করেন তিনি। ১৩ রানে ম্যাচ জেতে দিল্লি।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ক্যাপিটালস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৬১ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালস ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৮ রানে আটকে যায়।
দিল্লির হয়ে এদিন ৩৩ বলে ৫৭ রান করেন শিখর ধাওয়ান। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। শ্রেয়স আইয়ার ৪৩ বলে ৫৩ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এছাড়া স্টইনিস ১৮ ও ক্যারি ১৪ রান করেন।
জোফ্রা আর্চার ১৯ রানে ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নিয়েছেন উনাদকাট। ১টি করে উইকেট দখল করেন কার্তিক ত্যাগী ও শ্রেয়স গোপাল।
রাজস্থানের হয়ে বেন স্টোকস ৩৫ বলে ৪১ রান করেন। তিনি ৬টি চার মারেন। রবিন উথাপ্পা করেন ২৭ বলে ৩২ রান। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। বাটলার ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯ বলে ২২ রান করে আউট হন। স্যামসন ১৮ বলে ২৫ ও তেওয়াটিয়া ১৮ বলে অপরাজিত ১৪ রানের যোগদান রাখেন।
অ্যানরিচ ও দেশপান্ডে ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন রাবাদা, অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেল। ম্যাচের সেরা হয়েছেন অ্যানরিচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:- দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৬১/৭ (২০ ওভার), রাজস্থান রয়্যালস: ১৪৮/৮ (২০ ওভার), (দিল্লি ১৩ রানে জয়ী)।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।