অবশেষে শাপমুক্তি। এর আগে দু'বার আইপিএলের প্লে-অফে উঠলেও (২০১২ ও ২০১৯) তৃতীয় স্থানের বেশি এগতে পারেনি দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তারও আগে দু'বার সেমিফাইনালে (২০০৮ ও ২০০৯) উঠেছিল তারা। শেষমেশ আইপিএল ২০২০-র ফাইনালে উঠে ব্যর্থতার ধারা কাটিয়ে উঠল ক্যাপিটালস।
চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ১৭ রানে পরাজিত করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। প্রথমে ব্যাট করে ক্যাপিটালস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৯ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ আটকে যায় ৮ উইকেটে ১৭২ রানে।
(আইপিএলের লাইভ আপডেট ও লাইভ স্কোর জানতে ক্লিক করুন এখানে।)
বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ শুরুতেই পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। ডেভিড ওয়ার্নার ২ রান করে রাবাদার বলে বোল্ড হন। প্রিয়ম গর্গ ওপেন করতে নেমে ১৭ রান করে আউট হন। মণীশ পান্ডে ২১ রান করে উইকেট দিয়ে আসেন। হায়দরাবাদ মাত্র ৪৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট খুইয়ে বসে।
হোল্ডার আউট হন ১১ রানের সতর্ক ইনিংস খেলে। আব্দুল সামাদকে সঙ্গে নিয়ে পালটা লড়াই চালান উইলিয়ামসন। শেষে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ বলে ৬৭ রান করে আউট হয়ে বসেন উইলিয়ামসন। সামাদ ফেরেন ১৬ বলে ৩৩ রান করে। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। রশিদ খান ১১ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। খাতা খুলতে পারেননি শ্রীবত্স গোস্বামী।
রাবাদা ২৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট দখল করেন। স্টইনিস নেন ২৬ রানে ৩ উইকেট। ১টি উইকেট নিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল।
তার আগে দিল্লির হয়ে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫০ বলে ৭৮ রান করেন শিখর ধাওয়ান। স্টইনিস ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৩৮ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। হেতমায়ের ২২ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ব্যাটে-বলে সফল স্টইনিস ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।