দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক দেখা দিল। কোমরের উচ্চতায় একটি বলে একেবারে 'ক্লোজ কল' ছিল। কিন্তু প্রযুক্তি সাহায্য ছাড়াই সেটিকে বৈধ বলের তকমা দেন আম্পায়ার। তার পরের বলেই আউট হন আবদুল সামাদ। আর সেই সেখানেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আশা শেষ হয়ে যায়।
রবিবার প্রথমে ব্যাট করে ১৮৯ রান তোলে দিল্লি ক্যাপিটালস। রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ধুঁকছিল সানরাইজার্স। সেখান থেকে হায়দরাবাদকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন কেন উইলিয়ামসন এবং সামাদ। শেষ তিন ওভারে ৩০ রান দরকার ছিল সানরাইজার্সের। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক আউট হয়ে যাওয়ায় সেই সময় সানইরাইজার্সের একমাত্র ভরসা ছিলেন আবদুল সামাদ।
১৯ তম ওভার করতে আসেন কাগিসো রাবাডা। দ্বিতীয় বলে ইয়র্কার মিস করেন তিনি। তা ডিপ স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে উড়ে যায়। সানরাইজার্স দাবি করে, তা নো-বল ছিল। ডেভিড ওয়ার্নারও বাউন্ডারির বাইরে নো-বলের ইঙ্গিত করেন। কিন্তু অনফিল্ড আম্পায়ার তা বৈধ বল বলেন। সেই সময় সানরাইজার্সের দরকার ছিল ১০ বলে ২৩ রান।
কিন্তু তৃতীয় বলেই আউট হন সামাদ। যদি আগের বলটি নো দেওয়া হত, তাহলে সেটা ফ্রি-হিট হত। সেখানেই ঘুরে যেত ম্যাচ। অন্তত সানরাইজার্সের সুযোগ বাড়ত। সেই বলেই কার্যত হাতছাড়া হত না হায়দরাবাদের। স্বভাবতই তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষত প্রযুক্তির কেন সাহায্য নেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রিপ্লে থেকে একেবারেই স্পষ্ট যে খালি চোখে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া কার্যত দুষ্কর। অনেকের প্রশ্ন, যেখানে একটা রান-আউটের (স্টাম্প পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছেন ব্যাটসম্যান, তাও) জন্য তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য চাওয়া হয়, সেখানে এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কেন প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।