এমনটা নয় যে, হাতে বড় রানের পুঁজি ছিল। বরং সতর্ক ব্যাটিংয়ে ছন্দে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ঝুলিয়ে দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। পরে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দিল্লির তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপকে বেঁধে রেখে আইপিএল ২০২০-তে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিল হায়দরাবাদ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে সানরাইজার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৬২ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি নির্ধারিত ২০ ওভার ৬ উইকেটে ১৪৭ রানে আটকে যায়। ১৫ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে সানরাইজার্স।
(আইপিএলের যাবতীয় আপডেট ও লাইভ স্কোর জানতে ক্লিক করুন এখানে।)
আইপিএলের শেষ দু'টি ম্যাচের গতিপ্রকৃতি দেখে ২০০ রানের লক্ষ্যামাত্রাও নিরাপদ নয় বলে মনে হওয়াই স্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও আবু ধাবির এই পিচে বড় রান তোলা মুশকিল, এটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি সানরাইজার্স অধিনায়কের। তাই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ঝুঁকি না নিয়ে ধীরে সুস্থে নিজেদের ইনিংস গড়ে তোলেন ওয়ার্নাররা।
ডেভিডের ৪৫ ও বেয়ারস্টোর ৫৩ রানের ইনিংস দু'টি সানরাইজার্সের ভিত গড়ে দেয়। কেন উইলিয়ামসন ৪১ রানের আগ্রাসী ইনিংসে হায়দরাবাদকে দেড়শো রানের গণ্ডি পার করান। অভিষেককারী আব্দুল সামাদ একটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৭ বলে ১২ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন।
কাগিসো রাবাদা ও অমিত মিশ্র ২টি করে উইকেট দখল করেন। রাবাদা এই নিয়ে আইপিএলের ১০টি ম্যাচে ২টি বা তারও বেশি উইকেট সংগ্রহ করলেন।
দিল্লির হয়ে শিখর ধাওয়ান সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন। ঋষভ পন্ত আউট হন ২৮ রান করে। এছাড়া হেতমায়ের ২১, শ্রেয়স ১৭ ও রাবাদা অপরাজিত ১৫ রান করেন।
রশিদ খান ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। দলের সেরা তিন ব্যাটসম্যান ধাওয়ান, শ্রেয়স ও পন্তের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার জেতেন রশিদ। ভুবনেশ্বর ৪ ওভারে ২৫ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন। টি নটরাজন ৪ ওভারে ২৫ রান খরচ করে ১টি উইকেট তুলে নেন। ডেথ ওভারে নটরাজনের পরপর ইয়র্কার মন জিতে নেয় ক্রিকেটপ্রেমীদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:- হায়দরাবাদ: ১৬২/৪ (২০ ওভার), দিল্লি: ১৪৭/৭ (২০ ওভার), (হায়দরাবাদ ১৫ রানে জয়ী)।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।