লড়াইটা ছিল আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলে ৪ নম্বর বনাম ৩ নম্বরের। সেই লড়াই যতটা হাড্ডাহাড্ডি হবে ভাবা হয়েছিল তার ছিটেফোঁটাও হল না। আরসিবির দেওয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ১১২ রান তুলতে সমর্থ হল কেকেআর ব্যাটসম্যানরা।
গিল ছাড়া কোন ব্যাটসম্যান উইকেটে টিকেই থাকতে পারলেন না। ব্যাট হাতে হতশ্রী দেখাল রাসেল, মর্গ্যান,ব্যান্টনদের। নারিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নের পর তাঁকে 'ওয়ার্নিং লিস্টে' রেখেছিল আইপিএল কর্তৃপক্ষ। তাই তাকে আর এই ম্যাচে খেলানোর ঝুঁকি নেয়নি কেকেআর ম্যানেজমেন্ট। বদলে এদিন দলে আসেন টম ব্যান্টন। যিনি ব্যাট হাতে শারজার পিচে বুঝতেই পারছিলেন না রানটা কিভাবে করতে হয়। অথচ এই শারজার মাঠে প্রতি ম্যাচে প্রায় ২০০ করে যান করেছে দুদল। ফলে ৮২ রানে কেকেআরের ভারডুবি একেবারেই মানতে পারছেন না কেউ।
এই ব্যাপারে বলতে গিয়ে ম্যাচ শেষে দীনেশ কার্তিক জানালেন 'এবি বিশ্বমানের এক ক্রিকেটার। ওকে থামানো খুব কঠিন কাজ। আমরা সবরকমভাবে ওকে থামাতে চেষ্টা করেছি। আজকের ম্যাচে দুটি দলের মধ্যে ফারাকটা ওই গড়ে দেয়। একমাত্র ইনসুইং ইয়র্কার ছিল সঠিক বল,বাকি সব বলকেই ও মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছিল। আমাদের নিজেদের মধ্যে বসতে হবে। কিছুক্ষেত্রে আমাদের উন্নতি করতেই হবে। আমারা যদি আরসিবিকে ১৭৫ রানে আটকেও ফেলতাম তাহলেও আমাদের ব্যাটিংয়ে আরো ভাল করতে হত। সত্যি কথা বলতে প্রত্যেক অধিনায়কের এমন একটা দিন আসে যখন তাদের কোন কিছুই ঠিক হয়না। আবার এমন অনেক ভালো দিন ওআসে অধিনায়কের জীবনে। আমি সেই ভাল দিনগুলোকে আঁকড়ে ধরতে চাই।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।