অত্যন্ত সাধারণ মানের পারফরম্যান্স। ক্রিকেটীয় বিচারে সম্ভবত প্লে-অফে যাওয়াও উচিত ছিল না। তারপরও প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে। কিন্তু কেকেআরের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল সেই নেট রানরেট। যে বোঝা কেকেআরের চাপিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
(আইপিএলের যাবতীয় আপডেট, লাইভ স্কোর দেখুন এখানে)
প্রথম লেগে শারজায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ৮২ রানে হেরেছিল কেকেআর। সেই ম্যাচে নেট রানরেটে যে ধাক্কা লেগেছিল, তা সামলে ওঠার জন্য নাইটদের হাতে সাতটা ম্যাচ ছিল। বড় রানে জয় এলে সেটা অসম্ভব কিছু ছিল না। কিন্তু দুটি ম্যাচের পর সেই আশা শেষ হয়ে যায়। সেই ম্যাচে ২০ ওভারে ৮৪ রানের বেশি তুলতেই পারেননি ইয়ন মর্গ্যানরা। যা অলআউট না হয়ে আইপিএলের ইতিহাসে ২০ ওভারে সর্বনিম্ন স্কোর। সহজেই সেই রান তুলে নেন বিরাটরা কোহলিরা। আট উইকেটে জিতেছিলেন তাঁরা। তাও কিনা ৩৯ বল বাকি থাকতেই।
আরও পড়ুন : ‘ঝিমানো মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলল SRH, দুর্ভাগ্য KKR-এর’, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন প্রাক্তন ইংরেজ তারকা
সেই দু'ম্যাচে হারের পর নেট রানরেটের ভিত্তিতে যে প্লে-অফে ওঠার আশা ছাড়তে হবে, তা হয়তো অনুধাবন করতে পারেননি ব্রেন্ডন ম্যাককালামরা। তারপরও ম্যাচ জিতে নেট রানরেটের উপর ভরসা না করেই প্লে-অফে যেতে পারতেন। কিন্তু সেটা করতে পারেনি কেকেআর। পরের চারটি ম্যাচে মাত্র দুটি জয় আসায় সেই নেট রানরেটের উপর ভরসা করতে হয়। রাজস্থান রয়্যালসকে ৬০ রানে হারিয়ে কিছুটা নেট রানরেট ভালো হয়েছিল। কিন্তু তাতেও নেট রানরেট -০.২১৫ ছিল। ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে যদি কিছুটা উদ্যম দেখাতেন নাইটরা, তাহলে আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করতে হত না মর্গ্যানদের। বিরাটদের জায়গায় তাঁরাই প্লে-অফে উঠে যেতেন।
তবে নেট রানরেটের ভিত্তিতে প্লে-অফের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার নজির নতুন কোনও বিষয় নয়। গতবারের আইপিএলেই ১৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করেছিলেন দীনেশ কার্তিকরা। সমসংখ্যক পয়েন্ট সানরাইজার্সেরও। তবে নেট রানরেট খারাপ হওয়ায় টুর্নামেন্টের পরের ধাপে যাওয়ার সুযোগ হারিয়েছিল কেকেআর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।