ওপেনিংয়েই সেরা পারফরম্যান্স করেছেন। তা সত্ত্বেও আইপিএলে কখনও সাতে, কখনও চারে, কখনও আবার ছয় নম্বরে নামানো হয়েছিল। আগেরবার শেষ লগ্নে সেই ভুল থেকে কিছুটা শিক্ষা নিয়ে শুভমন গিলকে ওপেনিংয়ে নামিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। এবার অবশ্য শুরু থেকেই ওপেন করবেন তিনি। এমন ইঙ্গিত দিলেন খোদ শুভমন।
স্পোর্টস ওয়েবসাইট ইএসপিএল ক্রিকো ইনফোতে একটি সাক্ষাৎকারে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান বলেন, ‘গত সংস্করণের শেষের দিকে আমি ওপেন করছিলাম। তখনের মতোই (এবার) আমার ভূমিকা থাকছে - পুরো ইনিংসকে নিয়ন্ত্রণ করা। যদি আমি ওপেন করি, সেটাই আমার ভূমিকা থাকবে। সে চিরাচরিত ব্যাটসম্যান বা (প্রথম বল থেকেই চালানো) নারিনের সঙ্গে ওপেন করি, আমরা ভূমিকার পরিবর্তন হবে না। আমার মনে হয় না (সিনিয়র ওপেনার হিসেবে) আমার মাইন্ডসেটের খুব একটা পরিবর্তন হবে।’
বরাবরই প্রথম তিনে খেলা গিলকে ২০১৮ সাল এবং ২০১৯ সালের সংস্করণে অধিকাংশ ম্যাচে মিডল বা মিডল-লোয়ার অর্ডারে নামিয়েছে কেকেআর। কিন্তু সেখানে তাঁর পারফরম্যান্স একেবারেই আহামরি ছিল না। গতবারের আইপিএলে সব ম্যাচই খেলেছিলেন গিল। তার মধ্যে পাঁচটি ম্যাচে ওপেন করেছিলেন। দুটি ম্যাচে ব্যর্থ হলেও নাইটদের হয়ে গিলের সেরা ইনিংসগুলি ওপেনার হিসেবেই এসেছিল।
পরিসংখ্যান বলছে, ওপেন করতে নেমে ইডেনে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৩৯ বলে ৬৫ রান এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৪৫ বলে ৭৬ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেছিলেন। পরে মোহালিতে কিংস ইলেভন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৪৯ বলে ৬৫ রান অপরাজিত ছিলেন গিল। সেই ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন ভারতের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। আর ওপেনিং স্লট থেকেই সরিয়ে দিলেই গিলের পারফরম্যান্স গ্রাফ হুড়মুড়িয়ে পড়েছে। ন'টি ম্যাচে চার থেকে সাত নম্বরের মধ্যে খেলেছেন তিনি। সেখানে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর মাত্র ১৫। এমনকী দিল্লির বিরুদ্ধে ঝকঝকে ৬৫ রানের ইনিংসের পরের ম্যাচেই তাঁকে সাতে নামিয়ে দিয়েছিল কেকেআর। পরে অবশ্য ভুল শুধরে গ্রুপ লিগের শেষ চার ম্যাচে গিলকে ইনিংসের শুরুতেই পাঠানো হয়েছিল।
দেখুন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) যাবতীয় খবর
যদিও গিলের মতে, মাঝামাঝি এবং নীচের দিকে ব্যাট করতে যাওয়ার ফলে ভিন্ন দিক থেকে খেলা বিচার করতে পেরেছেন তিনি। যা খেলোয়াড় হিসেবে তাঁকে আরও অভিজ্ঞ তুলেছে। তরুণ ব্যাটসম্যানের কথায়, ‘ওটা আমার কাছে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া অভিজ্ঞতা ছিল। কারণ কখনও অত (নীচে) ব্যাট করিনি আমি। সেভাবে যদি দেখি, তাহলে সেটা আমায় ব্যাটসম্যান হিসেবে আরও পরিণত করে তুলেছে। কারণ তা আমায় বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে খেলা দেখতে এবং খেলার বিভিন্ন দিকে বুঝতে সাহায্য করেছে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।