দ্রুতগতিতে শরীর ঘেঁষে বল বা শর্ট বল বা শর্ট বলের পর ফুল লেংথ বল - সুনীল নারিনকে আউট করার উপায় আগেই খুূঁজে পেয়ে গিয়েছেন প্রতিপক্ষ বোলাররা। যার নিটফল - এবারের আইপিএলে প্রতি ম্যাচেই কয়েকটি বল খেলে ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা দিতে হচ্ছে নারিনকে। অবশেষে সেই বিষয়টি নিয়ে 'আলোচনার প্রয়োজন আছে' বলে অনুভব করলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।
একটা সময় নারিনকে ওপেনিংয়ে তুলে নিয়ে এসে রীতিমতো চমক দিয়েছিল কেকেআর। কয়েকটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভিতও গড়ে দিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। কিন্তু সেই 'সারপ্রাইজ প্যাকেজ' যে আর 'সারপ্রাইজ' নেই, তা গতবারের আইপিএল থেকেই বোঝা গিয়েছিল। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তা একেবারে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
প্রথম ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৪.৫ ওভারে নারিনকে আউট করেন জেমস প্যাটিনসন। নারিনের অবদান ছিল ১০ বলে ৯ রান। ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই শুভমন গিলকে হারানোর পর কেকেআরের অপর ওপেনারের উপর বাড়তি দায়িত্ব ছিল। স্বভাবতই তা হয়নি। তাও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ। সঠিক প্রথম একাদশ বেছে নেওয়া সম্ভব নয় বলে কিছুটা ছাড় পেতে পারে কেকেআর ম্যানেজমেন্ট।
কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেও কোনও পরিবর্তনের পথে হাঁটেনি কেকেআর। একেবারে চেনা ছকে নারিনকে বোল্ড করেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের খলিল আহমেদ। দু'বলে নারিনের অবদান ছিল শূন্য। ইনিংসের অষ্টম বলে আউট হন। লক্ষ্যমাত্রা কম থাকায় সেরকম কিছু মালুম হয়নি। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে নারিন করেন ১৪ বলে ১৫ রান। আর দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে তাঁর অবদান পাঁচ বলে তিন রান।
অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে প্রথম ছ'ওভারের মধ্যে কমপক্ষে এক উইকেট (তিন ম্যাচে নারিন প্রথমে আউট হয়েছেন) হারিয়েছে কেকেআর। কার্যত প্রতি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে 'উপহার' হিসেবে নারিনের উইকেট দিয়ে আসা হচ্ছে। যতই নারিন 'ফাটকা' বা বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান না হন, উইকেট হারিয়ে স্বভাবতই চাপে পড়ে যাচ্ছে দল। প্রথমে ব্যাটিং বা ছোটো রান তাড়ার ক্ষেত্রে সেই ধাক্কা সামলানো গেলেও বড় লক্ষ্যমাত্রা থাকলেই সেই সমস্যাটা প্রকট হয়ে উঠছে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সেটা ধরা পড়েছে। শনিবার শারজায় একই অবস্থা হয়েছে। অথচ বিশেষজ্ঞ ওপেনার আছেন প্রথম একাদশেই। তাঁকে পরের দিকে নামানো হচ্ছে।
তবে চার ম্যাচ পর অবশেষে ওপেনিং কম্বিনেশন পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন নাইট অধিনায়ক। শনিবার ম্যাচের পর ওপেনিংয়ে নারিনের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কার্তিক বলেন, 'সত্যি কথা বলতে এটা ভাবিনি এখনও। তবে এই ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়ে কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। আমি নিশ্চিত যে সেই বিষয়টা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে। সেটা বলেও বলতে চাই, নারিনের উপর আমাদের পুরো ভরসা আছে। ও যখনই শুরু করে, তখনই ও ভালো শুরু করে। আমরা সেটা বেশি গভীরভাবে দেখছি না।'
ক্রিকেট মহেলর মতে, নারিনকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পথে খুব সম্ভবত হাঁটবে না কলকাতা। তাঁকে ওপেনিং থেকে নামিয়ে আট-নয়ে খেলানো হতে পারে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।