শুভব্রত মুখার্জি
রূপকথার কাহিনী বললেও অত্যুক্তি হবে না। আইপিএলে প্রতি বছর কোনও না কোনও রূপকথার জন্ম হয়। এবছরের আইপিএলও তার ব্যতিক্রম নয়। কিছুদিন আগেই কৃষক পরিবার থেকে উঠে এসে আইপিএলের মঞ্চে নজর কেড়েছেন রাজস্থানের পেসার কার্তিক ত্যাগী। রাহুল তেওয়াটিয়া আগের মরশুমে খেললেও এই মরশুমেই তার প্রতিভা বিকশিত হয়েছে।
আর বুধবার রাতে রাজস্থান বনাম দিল্লির ম্যাচে আইপিএলের মঞ্চ পেয়ে গেল আরেক কৃতি সন্তানকে। গোটা ম্যাচ ছিল রাজস্থানের নিয়ন্ত্রণে। শেষের পাঁচ ওভারে ম্যাচ বার করে নিয়ে যায় দিল্লি। সেই জয়ে দিল্লির অন্যতম নায়ক তুষার দেশপান্ডে।
(আইপিএলের যাবতীয় আপডেট ও লাইভ স্কোর জানতে ক্লিক করুন এখানে।)
২০০৮ সালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বল বয় হওয়ার মধ্যে দিয়ে তাঁর জার্নি শুরু হয়। সেখান থেকে শেষমেশ আইপিএল অভিষেক। আর অভিষেকেই এই মুহূর্তে বিশ্বশ্রেষ্ঠ অল-রাউন্ডার বেন স্টোকসের উইকেট তুলে নিয়ে রাজস্থানকে জোর ধাক্কা দেন তিনি।
প্রথমে ব্যাট করে শ্রেয়সের অর্ধশতরানে ভর করে ২০ ওভারে ১৬১ রান করে দিল্লি। জবাবে মাত্র ১৪৮ রান তুলতেই সমর্থ হয় রাজস্থান। ১৩ রানে দিল্লিকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করেন দেশপান্ডে। ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তুষার। তেওয়াটিয়াকেও প্রথম বলেই প্রায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তুষার। তাঁর ক্যাচ সেবার ফেলে দেন অ্যানরিচ।
শেষ ওভারে তেওয়াটিয়ার বিরুদ্ধে যখন তিনি বল করছিলেন, তখন ৬ বলে ২২ রান দরকার ছিল রাজস্থানের। তুষার দেশপান্ডে শেষ ওভারে অসাধারণ বল করে মাত্র ৮ রান দিয়ে তুলে নেন একটি উইকেট। রাজস্থানের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে প্রায় হারা ম্যাচ দিল্লিকে জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন দেশপাণ্ডে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।