২০১৯ সালের আইপিএলে বিরাটের অধিনায়কত্বে খেলা এই আরসিবিই প্রথম ৭ ম্যাচের মধ্যে ১ টি তে জয় পেয়েছিল। যদিও পরের ৭ টি ম্যাচের মধ্যে তারা ৫টি তেই জয় তুলে নেয়। তবুও প্লে-অফ অধরা থেকে গিয়েছিল তাদের। প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে শেষবার নিজেদের ঘরের মাঠে আইপিএলের ফাইনালে খেলেছে বিরাট বাহিনী। তারপর থেকে তারা আর প্লে অফের জন্য কোয়ালিফাই করতে পারেনি। এবছর তাদের লক্ষ্য অবশ্যই তাদের ইতিহাসে প্রথমবার ট্রফি জয়।
এখন পর্যন্ত দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের সাথে একসাথে ১০ পয়েন্টে আছে তারা। বড় কিছু অঘটন না ঘটলে এবছর আইপিএলের প্লে-অফে খেলবে বিরাট বাহিনী।
সোমবার কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৮২ রানে বড় জয় পেয়েছে তারা। ব্যাট হাতে এদিন শারজার মাঠে রুদ্রমূর্তি ধারন করেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। মূলত তার ৭৩* ইনিংস দুই দলের পার্থক্য গড়ে দেয়। একথা ম্যাচ শেষে স্বীকার করে নেন কেকেআর দলনায়ক দীনেশ কার্তিক।
এদিন ম্যাচ শেষে তার দলের বড় জয় নিয়ে বলতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত কোহলি জানান 'এক কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক দুরন্ত জয় পেলাম আমরা। একটা ব্যস্ত সপ্তাহে প্রবেশের মূহুর্তে ভাল শুরু করাটা দারুন জরুরি ছিল। ক্রিস মরিসের ফিরে আসার ফলে আমাদের বোলিং বিভাগকে ও যথেষ্ট শক্তিশালী দেখাচ্ছে। আমরা আজকের স্কোর নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত। আজকের পিচ অন্য দিনের তুলনায় যথেষ্ট ড্রাই ছিল। আমরা ভেবেছিলাম যেহেতু আজকে আবহাওয়া পরিচ্ছন্ন ছিল তাই পরের দিকে শিশিরের সমস্যা হবে না।একজন 'সুপার হিউম্যানকে' বাদ দিয়ে এই পিচে সব ব্যাটসম্যানকেই রান পেতে বেগ পেতে হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম এই উইকেটে ১৬৫ যথেষ্ট ভাল একটা স্কোর হবে। কিন্তু আমরা ১৯৪ রান করি। যা এককথায় অবিশ্বাস্য। আমি ভেবেছিলাম আমি কয়েকটা বল খেলেছি এবার হয়ত আমি বড় শট খেলতে পারব। কিন্তু এবি উইকেটে এসে দুই বল খেলার পরেই তৃতীয় বলেই মারতে শুরু করে। ফলে যেখানে ভেবেছিলাম স্কোর ১৬৫ হবে তাই দাঁড়ায় গিয়ে ১৯৫ তে।'
ডি ভিলায়ার্স নিজেও জানান তাঁর ব্যাটিং তাঁকে অবাক করেছে। এত রান যে করতে পারবেন, ক্রিজে এসে তিনি ভাবেননি। তবুও মন্থর পিচে অনবদ্য টাইমিংয়ের মাধ্যমে দলকে জয় এনে দিলেন তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।