উড়ন্ত বাজপাখির শিকার ধরার মতোই কার্যত ছোঁ মেরে বল তালুবন্দি করেন। অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই বল বাউন্ডারির ভিতরে ছুঁড়ে দিয়ে দলের জন্য ছক্কা বাঁচিয়ে দেন নিকোলাস পুরান। কিংস ইলেভেনের হয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আইপিএল ম্যাচে পুরানের এমন দুরন্ত ফিল্ডিং দেখে সচিন তেন্ডুলকরের মতো কিংবদন্তি কোনও রকম রাখঢাক না করে জানিয়েছেন, এমন অনবদ্য সেভ জীবনে আগে কখনও দেখেননি তিনি। কেভিন পিটারসেনের প্রথমিক প্রতিক্রিয়াও ছিল, এটাই সর্বকালের সেরা ফিল্ডিং।
আইপিএলে পুরানের এমন উড়ন্ত ফিল্ডিং নিয়ে এখন ধন্য ধন্য রব। তবে খুব কম লোকই জানেন যে, বছর পাঁচেক আগে এমন দিনে ক্যারিবিয়ান তারকা নিশ্চিত ছিলেন না আবার ঠিক মতো হাঁটতে পারবেন কিনা। হুইল চেয়ারে বসে যন্ত্রণায় কাটানো দিনগুলিকে পিছনে ফেলে পুরান আবার স্বপ্নের উড়ান শুরু করেন দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর।
(আইপিএলের যাবতীয় আপডেট ও লাইভ স্কোর জানতে ক্লিক করুন এখানে।)
২০১৫-র জানুয়ারিতে ত্রিনিদাদে অনুশীলন সেরে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েন পুরান। হাঁটুর কাছে গুরুত্বপূর্ণ লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। গোড়ালির হাড় ভাঙে। দু'টি অস্ত্রোপচার হয় পায়ে। ৬ মাস হুইলচেয়ারে কাটাতে হয় তাঁকে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন পুরান। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটেও জায়গা করে নেন। সুতরাং, আইপিএলে এমন একটা কীর্তি স্থাপন করতে পারেন তিনি, বছর পাঁচেক আগে তাঁর পক্ষে সেই স্বপ্ন দেখাও সম্ভব ছিল না।
অতীতের সেই দিনগুলি নিয়ে পুরান বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর সেই বছরটা অত্যন্ত কঠিন কাটে। থেরাপি, পা বাঁকানোর অভ্যাস করা, ধীরে ধীরে হাঁটা অভ্যাস, দৌড়নোর চেষ্টা করা, সেই দিনগুলিই আমাকে ফিটনেসের গুরুত্ব বুঝিয়েছে। আমি প্রতি বছর নিজের ফিটনেসকে অন্য মাত্রায় তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। এখন আমি গত বছর বা তার আগের বছরের থেকে অনেক বেশি ফিট।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।