পরপর ৫ ম্যাচে জয় আর তাতেই এক দুরন্ত কামব্যাক ইতিমধ্যেই ঘটিয়ে ফেলেছে কেএল রাহুলের নেতৃত্বাধীন কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে থাকা একটা দল এখন প্লে অফ খেলার স্বপ্নে বুঁদ। বর্তমানে কেকেআরকে সরিয়ে তারা রয়েছে চতুর্থ স্থানে। আর এই ভাগ্য পরিবর্তনের অন্যতম কান্ডারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস্টোফার গেইল।
গেইলের প্রভাব যে কতখানি তা বুঝতে গেলে একটা ছোট রেকর্ডের দিকে খেয়াল করলেই বোঝা যায়। গেইল যখন পঞ্জাবের হয়ে খেলেননি তখন প্রীতির দল জয়ের মুখ দেখতেই পাচ্ছিল না। আর গেইল শুধু তাদের জয়ের পথে ফিরিয়েছেন তা নয় পরপর ৫টি ম্যাচ জিতেছে তারা।
কাল কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচে ১৫০ রান তাড়া করতে নেমে, ৪৭ রানের ওপেনিং জুটির পরে কেএল রাহুলের উইকেট হারায় পঞ্জাব। তারপর সদ্য পিতৃহারা মনদীপ সিং এর সঙ্গে জুটিতে অসাধারণ ব্যাটিং করেন 'দ্য ইউনিভার্স বস'। ৫১ রানের অনবদ্য এক ঝোড়ো ইনিংস খেলে পঞ্জাবের অনায়াস জয় সুনিশ্চিত করেন তিনি।
ম্যাচ শেষে ম্যান অফ দি ম্যাচ পুরস্কার নেওয়ার সময় গেইল বলেন 'যতক্ষণ টিমের বাইরে ছিলাম মন দিয়ে অনুশীলন করেছি। জিম করেছি, রানিং বিটউইন দ্য উইকেটে জোর দিয়েছি। তাই মাঠে নেমে ব্যাট হাতে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটা করতে পেরেছি। আমাদের দুজন স্পিনার খুব ভাল। মূলত তাদের পারফরমেন্স এর উপর ভিত্তি করে কাল আমরা ম্যাচে ফিরি। আমি ব্যাটিংটা ঠিক করে করতে পারার ফলে মনদীপের উপর চাপটা কম পড়ছে যেটার দরকার ছিল। সুনীল নারিন এই মূহুর্তে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ স্পিনার। আমাকে এর আগে অনেকবার আউট করেছে। ওর বিরুদ্ধে কাল কাউন্টার অ্যাটাকে রান পাওয়াটা জরুরি ছিল। পিচে বল ঘুরছিল না, সেটির ফায়দা নিয়েছি। মনদীপ খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। এটা দেখে খুব মিল লাগছিল যে ওর বাবাকে ও মাঠের মাঝেই শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাল। কোচ সবসময় বলে টিমের সিনিয়রদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। সেটা করতে পেরে খুব খুশী। টিমের জুনিয়ররা বলছে তুমি এখনই অবসর নিওনা।'
একই সঙ্গে নিজের বাবাকেও বিশেষ বার্তা দেন ইউনিভার্স বস টিভির পর্দা থেকে। যেভাবে রাজার চালে খেলছেন গেইল, তাতে অবসর নেওয়ার ভাবনা যে তাঁর মনে নেই, সেটাই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।