এতদিন তীরে এসে তরী ডোবার রোগে ভুগছিল কিংস ইলেভন পঞ্জাব। এবার তাদের বিরুদ্ধে সেই একই রোগে আক্রান্ত হল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তার জেরে ডেভিড ওয়ার্নারদের প্লে-অফে ওঠার কাজটা একেবারে কঠিন হয়ে গেল। আর টানা চার ম্যাচ জিতে প্লে-অফের দৌড়ে ভালোমতো থাকল কে এল রাহল ব্রিগেড।
শনিবার দুবাইয়ে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়ার্নার। প্রথমদিকে মনে হচ্ছিল, সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়েছে। কিন্তু ১০ ওভারে ক্রিস গেইল আউট হওয়ার পরই খেলায় ফিরতে থাকে সানরাইজার্স। পরের বলেই ফেরেন রাহুল। তারপর আর খেলায় ফিরতে পারেনি পঞ্জাব। শেষপর্যন্ত সাত উইকেটে ১২৬ রান তোলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। ২৮ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন নিকোলাস পুরান। ২৭ বলে ২৭ রান করেন রাহুল।
রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন ওয়ার্নার এবং জনি বেয়োরস্টো। প্রথম উইকেটে ৫৬ রান ওঠে। তারপরই ছন্দ হারিয়ে ফেলে সানরাইজার্স। পরের ১১ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেট পড়ে যায়। তারপর ইনিংসের হাল ধরেন মণীশ পান্ডে এবং বিজয় শংকর। তাঁরা দলকে জয়ের এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। যখন ২৪ বলে ২৭ রান বাকি ছিল, তখন আউট হয়ে যান মণীশ। তারপরই হায়দরাবাদের ইনিংসে ধস নামে। ১৪ রানের তুলতে না তুলতেই অলআউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ। ওই ২৩ বলে সাত উইকেট পড়ে। তার সৌজন্যে ১২ রানে জিতে যায় পঞ্জাব।
সেই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএলের তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকলেন রাহুলরা। সমসংখ্যক ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে কাজটা কঠিন করে ফেললেন ওয়ার্নারা। অঙ্কের হিসাবে এখনও তাঁদের কাছে প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবে তা হওয়া পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্যের কম কিছু হবে না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।