ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম্যান্স করা সত্ত্বেও জাতীয় নির্বাচকরা গত বছর বিশ্বকাপের দলে রাখেননি আম্বাতি রায়াডুকে। অথচ তাঁর বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া উচিত বলে একমত ছিল বিশেষজ্ঞমহল। এমনকি টুর্নামেন্টের মাঝে চোট-আঘাত সমস্যায় জোড়া বদলি নেওয়ার সুযোগ থাকলেও এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নির্বাচক কমিটি আম্বাতির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকে, যা নিয়ে বিতর্ক হয় বিস্তর।
ক্ষোভে-অভিমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে বসেন রায়াডু। যদিও পরে অবসর ভেঙে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সেই আম্বাতিই এদিন আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরি করেন। চেন্নাই সুপার কিংসকে আইপিএল ২০২০-র উদ্বোধনী ম্যাচে জিতিয়ে রায়াডু বার্তা দিলেন তাঁকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া নির্বাচকদের। বুঝিয়ে দিলেন, ফুরিয়ে যাননি তিনি।
(আইপিএলের লাইভ আপডেট ও লাইভ স্কোর জানতে ক্লিক করুন এখানে।)
মূলত রায়াডু ও ডু'প্লেসির জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করেই সিএসকে ৫ উইকেটের দাপুটে জয় ছিনিয়ে নেয় মুম্বইয়ের কাছ থেকে। ব্যাটে-বলে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে ম্যাচের সেরা হওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন স্যাম কারান। যদিও সিএসকের জয়ের পিছনে রায়াডুর অবদানকে অস্বীকার করা সম্ভব হয়নি কোনওভাবেই। তাই তিনিই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৬২ রান তোলে। সৌরভ তিওয়ারি ৪২ ও কুইন্টন ডি'কক ৩৩ রান করেন। লুঙ্গি এনগিদি নেন ৩টি উইকেট। ২টি করে উইকেট জাদেজা ও দীপক চাহারের। কারান ৪ ওভারে মাত্র ২৮ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সিএসকে ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। রায়াডু ৪৮ বলে ৭১ রান করে আউট হন। তিনি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ডু'প্লেসি অপরাজিত থাকেন ৫৮ রান করে। স্যাম কারান ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ধোনি ব্যাট হাতে মাঠে নেমে মাত্র ২টি বল খেলার সুযোগ পান। কোনও রান না করে নট-আউট থেকে যান তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:- মুম্বই: ১৬২/৯ (২০ ওভার), চেন্নাই: ১৬৬/৫ (১৯.২ ওভার), (চেন্নাই ৫ উইকেটে জয়ী।)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।